কুমার নদের ওপর সেতু দিয়ে এক সময় চলাচল করত যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। সেই সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছিলেন রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রূপালি কনস্ট্রাকশন কাজ শুরু করে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সেতু নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। পুরাতন সেতু ভেঙে তার পাশ দিয়ে একটি সরু কাঁচা রাস্তা করা হয়েছে। কাজের মধ্যে অগ্রগতি এতটুকই।
দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। সেতুর কাজ বন্ধ ও পাশের বিকল্প সড়কটি সরু হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বাস, ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার চলাচল। রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমার নদের ওপর ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৩৩ মিটার প্রস্থ সেতু নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়। বরিশালের মেসার্স রূপালি কনস্ট্রাকশন সেতুটির নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। এ সময় পুরাতন সেতুটি ভাঙা ও সরু কাঁচা রাস্তা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। মার্চেই কাজ বন্ধ করে চলে যায় তারা।
সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রূপালি কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাজবাড়ী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন বলেন, রূপালি কনস্ট্রাকশন কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন। বিধি মেনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করে আবার কাজ শুরু করা হবে।