লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বারাজান (কদমতলা) এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ভ্যাটেশ্বর নদের ওপর সেতু নির্মাণ হয়নি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও। এতে দুই পাড়ের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। কিন্তু এখন সেটিও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এখানে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান (কদমতলা) এলাকায় ব্রিজ না থাকায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থী, অসুস্থ বয়োবৃদ্ধসহ এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষ দুর্ভোগে পড়ে।
স্থানীয় রাসেল, রুবেল, আনোয়ার, রবিউল নামে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়ে আমরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করি। এখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই আমাদের সাঁকো পার হতে হয়। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি আমাদের অনেক দিনের। কদমতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কেউ যদি রাতের বেলা অসুস্থ হয় তাহলে তাকে মেডিকেলে নেওয়া সম্ভব হয় না। স্থানীয়রা জানায়, একটি ব্রিজের জন্য দিন গুনছেন কদমতলা এলাকার মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। স্থানীয় পর্যায়ে ভোট আসে, ভোট যায়। অনেক জনপ্রতিনিধি আসেন, প্রতিশ্রুতি দেন, ভোট নিয়ে চলে যান কিন্তু ব্রিজটি আজও বাস্তবায়ন করেননি কেউ। ভুলে যান কে কবে কথা দিয়েছিলেন এই কদমতলায় একটি ব্রিজ দেবেন। কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারেক বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। নদীর ওপারে স্কুল-মাদরাসায় যেতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সবাই বলে সেতু হবে, কিন্তু হয় না। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না। জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি।’ বারাজান (৮ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ জানান, একটি সেতুর জন্য লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখানে একটি সেতু খুব জরুরি। চলবলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, একটি সেতুর জন্য চলবলা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। এখানে একটি সেতু খুব জরুরি। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।