রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঈদ ঘিরে ব্যস্ততা জামদানি কারখানায়

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ঈদ ঘিরে ব্যস্ততা জামদানি কারখানায়

ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জামদানি কারখানায়। দম ফেলার ফুসরত মিলছে না কারিগরদের। উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামে অবস্থিত জামদানি কারখানার মালিক মোস্তফা রহমান। তার কারখানায় রয়েছে ছয়টি তাঁত।

সরেজমিন দেখা গেছে, কারখানাটিতে ১২ জন কারিগর কাজ করছেন। ঈদ ও পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। শ্রমিক ইমন মাতব্বর বলেন, এখানে দেড় বছর ধরে জামদানি তৈরির কাজ করছি। সামনে ঈদ। বেতন-বোনাস নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাব। ঈদে যাতে বেশি শাড়ি বুনতে পারি, সেজন্য বাড়তি পরিশ্রম করছি। আরেক শ্রমিক রুপসী পারভীন বলেন, পয়লা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে মালিক বেশি জামদানি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এ জন্য আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। কারিগর আতিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে বেনারসি ও জামদানি শাড়ির বেশ চাহিদা রয়েছে। তুলা, সুতা, বিদ্যুৎ, কারিগর ও যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে। ফলে এ পেশায় কারিগরের সংখ্যা কমার পাশাপাশি তাঁতপল্লিগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

কারখানা মালিক মোস্তফা রহমানের স্ত্রী লিপি সুলতানা জানান, কয়েক বছর আগে আমার স্বামী বাড়িতে তাঁত বসিয়ে জামদানি বুনতে শুরু করেন। তার কাছ থেকেই কাজ শিখেছি। স্বামীর পাশাপাশি আমিও কাজ করি এবং কারখানার দেখাশোনা করি। জামদানির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও পুঁজির অভাবে কারখানা বড় করা সম্ভব হচ্ছে না। মোস্তফা রহমান বলেন, শ্রমিকের বেতন, বিদ্যুৎ বিল ও ২৫-৩০টি জামদানি শাড়ি বুনতে মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। শাড়িগুলো বিক্রি করে খরচ বাদে ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় হয়। সরকারি-বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পেলে কারখানা বড় করার কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ফরিদপুরের উপ-মহাব্যবস্থাপক মানছুরুল করিম বলেন, আমার জানামতে ফরিদপুরে কোনো জামদানি পল্লি নেই বা শাড়ি তৈরি হয় না। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, সংশ্লিষ্টরা যোগাযোগ করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর