সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফেরির অপেক্ষায় ৫৩ বছর

‘একটা ফেরি বদলে দিতে পারে ২ লাখ মানুষের জীবনমান’

মিজানুর রহমান, কুতুবদিয়া

ফেরির অপেক্ষায় ৫৩ বছর

ছোট ছোট জলযানে পরিবহন করা হয় যাত্রী ও পণ্য -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপ। প্রায় ৫০০ বছর আগে বসতি শুরু হয় এ দ্বীপে। প্রয়োজনীয় কাজে এখানকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন মগনামা ঘাট দিয়ে কুকুবদিয়া চ্যানেল পার হয়ে যাতায়াত করেন চকরিয়া, কক্সবাজার শহর, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ চ্যানেল পারি দিতে তাদের ব্যবহার করতে হয় ছোট ডেনিশ অথবা স্পিডবোট। বোটে একদিকে যেমন বাড়তি টাকা দিতে হয়, অন্যদিকে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। বর্ষা মৌসুমে চ্যানেল উত্তাল থাকায় ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। প্রায়াই ঘটে দুর্ঘটনা। দেশ স্বাধীনের পর থেকে কুতুবদিয়াবাসী একটি ফেরির অপেক্ষায় থাকলেও এরই মধ্যে কেটে গেছে ৫৩ বছর। পাঁচ দশকের বেশি সময় ফেরি না পেয়ে চ্যানেল পারাপারে মানুষ যেমন কষ্ট ভোগ করছেন তেমন উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও লবণ বাজারে সরবরাহ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা। নিত্যদিন প্রয়োজনীয় কাজে মানুষ কুতুবদিয়া থেকে মগনামা ঘাটে পার হয়ে ছুটতে হয় চকরিয়া, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। কুতুবদিয়া চ্যানেল দিয়ে দ্বীপে চারটি জেটি ঘাট থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘাট দিয়েই মানুষ বেশি যাতায়াত করেন। এর একটা হলো দরবার ঘাট, অন্যটি বড়ঘোপ ঘাট। দ্বাপবাসীর ভাষ্য, একটি ফেরিই কুতুবদিয়ার ২ লক্ষাধিক বাসিন্দার জীবনমান উন্নত করতে পারে। দেশের ছোটবড় নদীতে সেতু হওয়ায় অনেক ফেরি ঘাটে পড়ে থাকলেও তাদের দুঃখ লাঘবে একটা ফেরি জুটেনা বলেও হতাশা ব্যক্ত করেন দ্বীপের একাধিক পেশাজীবী। দ্বীপে বসবাসরত মোস্তাক আহমেদ নামে একজন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও কুতুবদিয়াবাসীর দুঃখের শেষ নেই। মগনামা-কুতুবদিয়া ঘাট পারাপার আমাদের জন্য অভিশাপ।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশেকুর রহমান বলেন, কুতুবদিয়া-মগনামা ঘাট পারাপার অতি কষ্টের। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি একটি ফেরিঘাট দেন, দ্বীপের মানুষের ঘাট পারাপারে সুবিধা হবে। ককুতুবদিয়া-মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘এখানে ফেরি ২ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি।’

সর্বশেষ খবর