ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতার আনাগোনা বাড়ছে জয়পুরহাটের বিভিন্ন মার্কেট, বিপনিবিতান, শপিংমলে। ঘুরে ঘুরে তারা কিনছেন পছন্দের পোশাক। নতুন কাপড় শরীরের সঙ্গে মানানসই করে নিতে বা পোশাকে ভিন্নতা আনতে অনেকে ছুটছেন কাটিং ও ফিটিং মাস্টারদের (দর্জি) কাছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের রেল লাইনের পশ্চিম পাশে হকার্স মার্কেটে সারি সারি সেলাই মেশিন নিয়ে বসে আছেন দর্জিরা। ঈদের জন্য কেনা নতুন পোশাক ক্রেতারা দেহের মাপ অনুযায়ী ফিটিং করে নিচ্ছেন তাদের কাছ থেকে। শহরের মাদ্রাসা পাড়ার ছামিউল আলম ও আরাফাত নগরের ইমরান জানান, তারা দুই বন্ধু এসেছেন নতুন শার্ট ফিটিং করে নিতে। পাঞ্জাবি ফিটিং করতে আসা আরমান হোসেন বলেন, ‘পছন্দের পাঞ্জাবিটি সাইজে একটু বড়। তাই ফিটিং করে নিচ্ছি।’
সাদ্দাম নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, রেডিমেড পোশাক ঢিল হয়। ঢিলাঢালা কাপড় পড়লে মোটা দেখায়। ফলে বেশিরভাগ জামা ফিটিং করেই পড়ি। হকার্স মার্কেটের আশরাফ আলী, ইরফান হোসেন, সাজুসহ কয়েকজন দর্জি জানান, একটি শার্ট ফিটিং করতে ৫০, প্যান্ট ৭০, পাঞ্জাবি ১২০-১৫০ ও গেঞ্জির জন্য ৪০ টাকা মজুরি নেন। ঈদের সময় প্রতিটি কাপড়ে অন্য সময়ের চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি রাখেন-জানান তারা। কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজ করা লিটন ইসলাম জানান, ঈদের সময় চাপ একটু বেশি থাকে। বিশেষ করে ২০ রোজার পর কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজ বেড়ে যায়। ফিটিং মাস্টার আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঈদের সাত দিন আগে দিনরাত টানা কাজ করতে হয়। বিশ্রামের সময় পাওয়া যায় না।