শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে বাঁশভর্তি ট্রাক

♦ আতঙ্কে পথচারীরা ♦ সৃষ্টি হয় যানজট ♦ ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

সড়কে বাঁশভর্তি ট্রাক

সখীপুরে সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা বাঁশভর্তি ট্রাক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশভর্তি ট্রাক আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন পরিবহন ও পথচারীদের। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-সখীপুর সড়কের দেওদিঘী এলাকায় সড়কের অর্ধেক অংশ দখলে থাকে বাঁশভর্তি ট্রাকের। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এসব বাঁশের ট্রাক সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে বলে জানায় এলাকাবাসী। বাঁশ ব্যবসায়ী ও ট্রাকচালকদের অসচেতনতায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশের হাট ঘেঁষা দেওদিঘী বাজারের সড়কে বাঁশভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। দুপুর থেকে বাঁশভর্তি ট্রাকগুলো সড়কে অবস্থান নিয়ে আছে। এ সময় ট্রাকের চালক ও বাঁশ ব্যবসায়ীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায়, চালকরা ঘুমিয়ে থাকেন, সন্ধ্যার আগে তাদের কাউকে পাওয়া যাবে না। রাত ৯টার আগে মহাসড়কে বাঁশের ট্রাক ঢোকানো নিষেধ। তাই ট্রাকগুলো বাঁশেরহাট ঘেঁষা সড়কে পার্কিং করা হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।

‘বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশ কিনে অনেকেই দেওদিঘী বাজারে নিয়ে আসে। আবার পাইকাররাও কেউ কেউ সরাসরি বাঁশ ট্রাকে ভর্তি করে সড়কের পাশে রাখেন’
বাঁশ ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশ ক্রয় করে অনেকেই দেওদিঘী বাজারে নিয়ে আসে। আবার পাইকাররাও কেউ কেউ সরাসরি বাঁশ ট্রাকে ভর্তি করে সড়কের পাশে রাখে। ব্যবসায়ী ও ট্রাকচালকদের সুবিধা হয় বলে এভাবে ট্রাকগুলো রাখা হয়। সন্ধ্যার পরেই ট্রাকগুলো যায় ঢাকার উদ্দেশে। স্থানীয়রা বলেন, ট্রাকের মালিক ও বাঁশ ব্যবসায়ীরা এলাকার, এ হাঁটও আমাদের; তাই কাউকে কিছু বলা আমাদের জন্য বিব্রতকর। তবে ট্রাকগুলো যেভাবে রাখা হয়, তাতে কেউ খুশি না। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রাকমালিক আবদুল আওয়াল বলেন, ওখানে অনেকের ট্রাকই থাকে। একাধিক পিকআপচালক অভিযোগ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিদিন এসব বাঁশের ট্রাক সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে। এ কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। মালামাল ভর্তি গাড়ি নিয়ে পার হওয়া কষ্টকর হয়। মোটরসাইকেল চালক হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কের ওপর বাঁশভর্তি ট্রাকগুলো খুবই আতঙ্ক। দেওদীঘি বাজারের ইজারাদার ইয়াছিন আলী বলেন, সড়কে ট্রাক না রাখতে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা।

সর্বশেষ খবর