সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

পর্যটক বরণে প্রস্তুত পাহাড়

♦ চলছে বুকিং ♦ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

পর্যটক বরণে প্রস্তুত পাহাড়

পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢেলে সাজানো হয়েছে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আধুনিকতা আর নতুনত্ব আনা হয়েছে হোটেল-মোটেল। প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে রং তুলির আঁচরে রাঙানো হয়েছে কক্ষগুলো। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব প্রস্তুতি। এবার অপেক্ষা পর্যটক বরণের। ১৩ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত টানা বুকিং রয়েছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের হোটেল-মোটেলগুলো। বুকিং হয়ে গেছে ৮০ ভাগ, বলছেন রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা। তিনি বলেন, বুকিং এখনো চলমান। ২০ ভাগ রুম বিশেষ অতিথিদের জন্য রয়েছে। সেগুলোও বুকিং হয়ে যাচ্ছে। এবার উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবি আর মুসলিমদের ঈদুল ফিতর। উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লম্বা ছুটি। এবার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য। পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলে লক্ষ্য পূরণ হবে আশা করি। সূত্র জানায়, রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনন্দ ও মনোরঞ্জন জোগানোর অসংখ্য নৈসর্গিক কেন্দ্র রয়েছে। সরকারি মোটেল ছাড়াও আছে ডিসি বাংলো জাদুঘর, পেদাটিংটিং, সুবলং ঝরনা ও টুকটুক ইকো ভিলেজ, হাইজ বোটে ভাসমান রেস্টুরেন্ট, রাঙামাটি পার্ক, সুখী নীল গঞ্জ, স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমণ। রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও প্রাচীন নিদর্শন। নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে আছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধ, কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক, কাপ্তাই নেভিক্যাম্প, পোর্ট হাউস, ফুরামন পাহাড়সহ মনোরম ও নয়নাভিরাম দৃশ্য। যার টানে এবার ঈদে রাঙামাটিতে ছুটে আসবে হাজার হাজার পর্যটক, মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈসাবি উপলক্ষে পাহাড়ের ১০ ভাষাভাষি ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মেলা বসবে। মেলা ঘিরে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এখন সাজ সাজ রব। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের এ উৎসব ঘিরে এরই মধ্যে পাহাড়ে এসেছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। রাঙামাটির এসপি মীর আবু তৌহিদ বলেন, ঈদুল ফিতর আর বৈসাবি ঘিরে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ ও পর্যটক স্পটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ঈদের ছুটিতে এ জেলায়ও পর্যটকের ঢল নামবে প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। জানা যায়, ঈদুল ফিতরের পাশাপাশি এবার ১২ এপ্রিল থেকে এখানে শুরু হবে বৈসাবি। ফলে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে। মোটেল-হোটেলগুলোতে এখন থেকেই বুুকিং চলছে। পর্যটকরা আলুটিলা গুহা, রিচাং ঝরনা, দেবতা পুকুর, পানছড়ির শান্তিকুটির, হাতিরমাথা, হর্টিকালচার পার্কসহ সব স্পটে ভিড় করবেন আশা করা হচ্ছে। এসব স্পট নানাভাবে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। হোটেল মালিক হাজি ছালেহ আহম্মদ জানান, তাদের হোটেলে আগাম বুকিং নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন মোটেলের ম্যানেজার উত্তম কুমার জানান, বুকিং হচ্ছে প্রতিদিন। তাদের আশা এবার বিগত দিনের চেয়ে বেশি পর্যটক আসবে এখানে।

সর্বশেষ খবর