শিরোনাম
সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইলিশা ফেরিঘাটে সিরিয়াল মিলছে না পণ্যবাহী যানের

লোকসানের মুখে তরমুজ ব্যবসায়ীরা

জুন্নু রায়হান, ভোলা

ইলিশা ফেরিঘাটে সিরিয়াল মিলছে না পণ্যবাহী যানের

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে সিরিয়াল পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারে তিন থেকে চার দিন সময় লাগছে। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। পরিবহন সমস্যার প্রভাব পড়ছে চাষিদের ওপর। তাই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ইলিশা-মজু চৌধুরীরহাট নৌরুটে বর্তমানে ছয়টি ফেরি চলাচল করলেও ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন পড়েছে পণ্যবাহী যানবাহনের। এসবের অধিকাংশই তরমুজের গাড়ি। এজন্য নদীর নাব্য সংকটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ভোলায় এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারজাত করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা। কারণ দ্বীপ জেলা থেকে বের হতে নির্ভর করতে হয় ফেরির ওপর। নদীতে পানি কম থাকায় বেশির ভাগ সময়ই ফেরি চলছে ধীরগতিতে। ২০ কিলোমিটার পারি দিতে সময় লাগার কথা ২ ঘণ্টা। সেখানে লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা। মাঝেমধ্যে চরে আটকে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় জোয়ারের জন্য। তরমুজের মৌসুমে এমনিতেই প্রতিদিন ৬০-৭০টি অতিরিক্ত যানবাহন এসে জড়ো হয়। ফলে ইলিশা ফেরিঘাটে প্রায় ৩ কিলোমিটারজুড়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন। প্রচন্ড গরমে গাড়িতে থাকা অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া তিন চার দিন আটকে থাকায় পরিবহন শ্রমিকদের থাকা-খাওয়াসহ পরিবহন খরচ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফেরিঘাট এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ী, চালক ও হেলপাররা।

সর্বশেষ খবর