ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টো পথে অহরহ চলাচল করছে ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত অবৈধ তিন চাকার যান। দুর্ঘটনা কমাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আদালতের নির্দেশনা এ সড়কে যেন কার্যকর হচ্ছে না। নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলারসহ অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব যানবাহনের কারণে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনাও। উল্টো পথে যানবাহন চলাচলের কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। যার ফলে দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে মৃত্যুর মিছিল। আহতের সংখ্যাও বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে হাইওয়ে পুলিশের তদারকি থাকলেও দুর্ঘটনার ব্যাপকতা কিছুতেই রোধ হচ্ছে না। নিশ্চিত হয়নি সড়কে মানুষের নিরাপত্তা। দূরপাল্লার পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও পথচারীদের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে নিষিদ্ধ বাহন উল্টো পথে মহাসড়কে চলাচল আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু দিয়ে প্রতি মিনিটে ১০ থেকে ১৫টি নিষিদ্ধ বাহন উল্টো পথে চলাচল করছে। উল্টো পথে যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। ইজিবাইক চালক রাকিব মিয়া ও শামীম মিয়া বলেন, মহাসড়কে গাড়ি (ইজিবাইক) চালালে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। পুলিশ ধরে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, পুলিশ ধরলে মামলা দেয়। আমরা মামলার জরিমানা শোধ করে গাড়ি নিয়ে এসে আবার চালাই। এক মাসে রাকিবকে তিনবার মামলা দিলেও সে উল্টো পথে চলাচল বন্ধ করেনি। এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) টিআই শরফুদ্দিন বলেন, মহাসড়কে থ্রিহুইলার চলাচলের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিনই এসব গাড়ি আটক করে মামলা ও ডাম্পিং করা হচ্ছে। গত ৩ মার্চ উল্টো পথে চলাচলকারী একটি ইজিবাইক আটক করতে গিয়ে একজন পুলিশ সদস্য আহত হন।