শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবাদি জমি-পুকুরের মাটি বিক্রি

♦ জড়িত প্রভাবশালীরা ♦ সংস্কারের নামে চলছে এ কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

আবাদি জমি-পুকুরের মাটি বিক্রি

বগুড়ার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আবাদি জমি ও পুকুর সংস্কারের নামে ফের মাটি বিক্রি শুরু হয়েছে। একশ্রেণির প্রভাবশালী এর সঙ্গে জড়িত। ঈদুল ফিতরের ছুটি টার্গেট করে মাঠে নেমেছে প্রভাবশালী চক্র। রাতের আঁধারে কৃষিজমি ও পুকুরে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করায় সরকারের উন্নয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ নতুন সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোয় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন। প্রশাসন অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নামুইট, ভাটরা ইউনিয়নের রুস্তমপুর, মাটিহাঁস, ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গোছাইল, দামরুল, বুড়ইল ইউনিয়নের পোঁতা, দাশগ্রাম, পেংহাজারকি, তুলাশন হামিদ বাজারসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পুকুর সংস্কারের নামে এক্সকেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায়। প্রতিটি আবাদি জমি, ভিটা, পুকুর খনন করে একেকটি চক্র প্রায় ৫ হাজার ট্রাক্টর মাটি বিক্রি করছে। এসব এলাকায় প্রায় ১০টি মাটি কাটা চক্র রয়েছে। এতে বন্ধ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এলাকায় প্রভাব ঘাটিয়ে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মাটি খনন করে বিক্রির অপরাধে থানায় সাতটি মামলা হয়েছে। পরদিন জামিন নিয়েই ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে এ চক্র।

প্রতিটি আবাদি জমি, ভিটা, পুকুর খনন করে একেকটি চক্র ৫ হাজার ট্রাক্টর মাটি বিক্রি করছে

স্থানীয়া জানান, কৃষিজমি ও পুকুর খননের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির জানান, পুকুর সংস্কারের নামে ও আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি ঠেকাতে নজরদারি রয়েছে। গতকাল সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর