‘ব্রি ধান ৯৬-এ প্রোটিনের পরিমাণ ১০.৮% ও অ্যামাইলোজ ২৮%, ভাত হয় ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার সূত্রমতে, এ বছর কুমিল্লায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামের কৃষক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘ব্রি ধান ৯৬ জাতের একটি জমিতে প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া যায় ৪.১৮ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবার ব্রি ধান ৯৬ জাতটি চাষ করেছি। মাত্র ১৩০ দিনের জীবৎকালে বাম্পার ফলন পেয়েছি।’ দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে; যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। কৃষকের ব্রি ধান ২৮-এর পরিবর্তে একই জীবৎকালের তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল। স্বর্ণা ধানের মতো রঙের এ ধানে প্রোটিনের পরিমাণ ১০.৮% ও অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৮%, ভাত হয় ঝরঝরে; খেতে সুস্বাদু। ব্রি ধান ৯৬ ছাড়াও ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাবন করা ব্রি ধান ১০১, ১০২, ১০৪ ও ১০৫ জাতের আবাদ ও বীজ উৎপাদন ইতোমধ্যে দেবিদ্বারে শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মেধিলি ও মিগজাইমের আঘাতে রবি ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষককে মৌসুমের শুরু থেকেই আধুনিক উফশী জাত ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে সেচ নিশ্চিত করা হয়। কালবৈশাখি, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ, রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাবসহ নানা প্রতিকূলতার শঙ্কা ছিল। নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর বোরো মৌসুমে ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে।