লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা সজীব মারা গেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে গতকাল সকাল থেকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বাজারে জড়ো হতে থাকেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাবিওর আহমেদ ও ওয়াহিদুজ্জামান বেগ বাবলু, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব প্রমুখ। তারা সজীব হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। নইলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
এদিকে সজীবের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চলছে প্রতিবেশী ও স্বজনদের মাতম। মাত্র পাঁচ বছর বয়সী কন্যাসন্তান জানে না অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ে সে এতিম। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, হামলা ও গুলির ঘটনায় সোমবার রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে কাজী বাবলুসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার আসামি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ১২ এপ্রিল রাতে সজীবের ওপর হামলা করা হয়।
ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রগঞ্জ পাঁচপাড়ার যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়।