সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
জামালপুর ১০ শয্যার মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র

ভবন আছে, লোকবল নেই

► ছয় বছরেও শুরু হয়নি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম ► বেশির ভাগ কক্ষই ফাঁকা ► ভোগান্তি মা ও শিশুর

শুভ্র মেহেদী, জামালপুর

ভবন আছে, লোকবল নেই

স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জামালপুরে নির্মাণ করা হয়েছে ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবল না থাকায় উদ্বোধনের ছয় বছরে শুরু হয়নি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম। ফলে প্রসূতি ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে যেতে হয় জেলা সদরে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তাদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। স্থানীয়রা দ্রুত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র চালুর দাবি জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে আংশিক কার্যক্রম চলছে, জনবল নিয়োগ হলে আরও সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সদর উপজেলার বারুয়ামারী এলাকায় ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। দ্বিতল ভবনের কাজ সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম। স্থানীয়রা হাসপাতাল পেয়ে খুশি হলেও প্রত্যাশিত সেবা না পাওয়ায় এখন তারা হতাশ। ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রয়েছে চিকিৎসকের দুটি চেম্বার, দুটি নার্স রুম, ফার্মেসি, ল্যাব, ওয়েটিং রুম, কাউন্সিলিং রুম, স্টোর রুম, খাবার সরবরাহ ও অফিস কক্ষ। এ ছাড়া রোগীদের জন্য সাধারণ ওয়ার্ড, এসি সংবলিত অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ রুমসহ প্রয়োজনীয় কক্ষ রয়েছে। এতসব থাকার পরও শুধু জনবল নিয়োগ না হওয়ায় হাসপতালে রোগী ভর্তি করা হয় না। ফলে ওয়ার্ডে নেই কোনো শয্যা, অপারেশন থিয়েটারে নেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। কল্যাণ কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালনার জন্য ২০১৯ সালে দুজন মেডিকেল অফিসার, একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট, একজন ফার্মাসিস্ট, চারজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, একজন অফিস সহায়ক এবং চাহিদার ভিত্তিতে ওয়ার্ড বয় ও আয়ার পদ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু এখনো নিয়োগ কার্যক্রম শুরুই হয়নি। বর্তমানে দুজন নার্স, ফার্মাসিস্ট, নৈশ্যপ্রহরী, আয়াসহ পাঁচজন কর্মরত রয়েছেন। সাধারণ কিছু ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিভিন্ন উপকরণ প্রদান ও একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে নরমাল প্রসবসেবা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসক না থাকা, রোগী ভর্তি, অপারেশন ও চিকিৎসাসেবা প্রদান না করায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র। জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, সারা দেশেই চিকিৎসক, নার্স সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি দ্রুত জনবল নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর