সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

গরমে চাহিদা বেড়েছে ফ্যান এসির

ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে অনেক দোকানের এসির স্টক

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

গরমে চাহিদা বেড়েছে ফ্যান এসির

► দোকানে ক্রেতার ভিড়  ► দাম বেশি রাখার অভিযোগ  ► চার্জার ফ্যানের বিক্রি বেশি

 

সারা দেশের মতো তীব্র দাবদাহে পুড়ছে উত্তরাঞ্চল। বগুড়ায় গতকাল তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। একটু স্বস্তি খুঁজতে ক্রেতারা ছুটছেন ফ্যান ও এসির দোকানে। শহরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স দোকান ও শো-রুমে ভিড় করছেন মানুষ।

বগুড়া শহরের মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্স, সোমিন মার্কেটসহ শোরুমগুলো গতকাল ঘুরে দেখা যায়, চার্জার ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান কিনতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। চার্জার ফ্যান ও টেবিল ফ্যানের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মার্চ মাস থেকে ফ্যান, এসি ও ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগানে টানও পড়েছে। অনেকের এসির স্টক ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। বাজারে বর্তমানে প্রকারভেদে টেবিল ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। বড় স্ট্যান্ড ফ্যান সাড়ে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজারে বিক্রি চলছে। এ ছাড়া আকারভেদে সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় চার্জার ফ্যান এবং টেবিল ফ্যানের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। প্রচ- গরম পড়ায় ফ্রিজ বিকিকিনিও বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে শোরুমগুলোতে। ব্যবসায়ীরা জানান, ফ্রিজের দাম ও চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে।

ফ্যান কিনতে আসা আমিনুল হক আরজু জানান, গরম এতটাই বেড়েছে যে রাতে পরিবার নিয়ে ঘুমাতে পারি না। গরম থেকে বাঁচতে টেবিল ফ্যান কিনতে এসেছি। ফ্যানের দাম আগের তুলনায় বেশি। বগুড়া নদী বাংলা কমপ্লেক্সের রাজু ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী রাজু আহম্মেদ জানান, দাবদাহের কারণে ফ্যান বিক্রি বেড়েছে। লোডশেডিং বেশি হলে চার্জার ফ্যানের চাহিদা ও দাম বাড়তে পারে। কদর বেড়েছে এসি এবং আইপিএসেরও। শহরের শোরুমগুলোতে দেড় টনের এসি ৭০ হাজার আর এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ হাজার টাকায়। নিম্নআয়ের লোকজন বলছেন, ঘরের ভিতরেও স্বস্তিতে থাকার জো নেই। একে তো মশার উপদ্রব, তার ওপরে ভ্যাপসা গরম। ঈদের পর থেকে গরমের তীব্রতা বাড়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতেও পারছেন না তারা। এর মধ্যেও প্রায়ই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে মধ্যবিত্ত পরিবার ঝুঁকছে এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলারের দিকে। আইপিএসও খুঁজছেন তারা। আর যাদের সামর্থ্য কম তারা খুঁজছেন ফ্যান, বিশেষ করে চার্জার ফ্যান।

সর্বশেষ খবর