পয়লা বৈশাখ থেকে বাধ্যতামূলক করা হলেও গতকাল পর্যন্ত বস্তার গায়ে চালের দাম, ধানের জাত, মিলের নাম ও উৎপাদনের তারিখ লেখা শুরু করেনি কুষ্টিয়ার মিল মালিকরা। এসব তথ্যের পাশাপাশি থাকতে হবে ওজনের তথ্যও। এসব তথ্য ছাড়াই আগের মতোই চাল পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ডায়ার মিল পরিদর্শন করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আলমগীর কবির।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে, চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা জারি করেছে। যা পয়লা বৈশাখ থেকে কার্যকর হয়েছে।
ভোক্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চাল সিন্ডিকেটে জিম্মি আমরা। ইচ্ছামতো দাম বাড়ায়। বস্তায় দাম লেখা হলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসত তারা। কিন্তু এখনো সে উদ্যোগও বাস্তবায়ন হতে দেখা যাচ্ছে না।
অটোরাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়ার সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, সরকার নির্দেশনা দিলেই তো আর হবে না। বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। কোম্পানির নাম, চালের নাম লেখা বস্তায় চাল ভরে দাম ও তারিখ লিখতে হবে। সেটি লেখা বা ছাপ দেওয়ার কোনো মেশিন সম্পর্কে তারা জানেন না। এ মেশিন তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। সেটা রেডি হলে সরকারের নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। কুষ্টিয়ার ডিসি এহেতেশাম রেজা বলেছেন, কোথা থেকে মেশিন আনবেন মিল মালিকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। নতুন করে উৎপাদন হওয়া চাল অবশ্যই দাম ও তারিখ লিখেই মার্কেটে দিতে হবে।