শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মরিচ-সুপারি হাটে বেচাকেনা বন্ধ

♦ অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ ♦ বিপাকে চাষি ও ব্যবসায়ী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

মরিচ-সুপারি হাটে বেচাকেনা বন্ধ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে মরিচ ও সুপারি বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার চাষি এ হাটে নানা ফসল বেচাকেনা করেন। এর মধ্যে মরিচ ও সুপারি চাষি রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। সুপারি ও মরিচ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ৫ হাজার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ ব্যবসায়ী। প্রতি হাটবারে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার মরিচ ও সুপারি বেচাকেনা হয় এ হাটে। স্থানীয়রা জানান, শালবাহান হাটে মরিচ, সুপারি, ভুট্টা, শাকসবজি, ধান, পাটসহ নানা ফসল বেচাকেনা করেন চাষি এবং ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন এ হাটে। গতকাল শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদ মরিচ ও সুপারিতে খাজনা আদায়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। হঠাৎ অতিরিক্ত খাজনা নির্ধারণ এবং তা আদায়ের প্রতিবাদে মরিচ ও সুপারি ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা বন্ধ করে দেন। চাষিরা বলছেন, প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। তাই ব্যবসায়ীরা মরিচ ও সুপারি কেনা বন্ধ করেছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ মরিচে এক কেজি করে বেশি নিচ্ছেন। চাষীরা মরিচ বিক্রি না করতে পেরে বিপাকে পড়েছেন। মরিচচাষি আবু তালেব জানান, মরিচের প্রতি কেজিতে গাি দিতে হয় পাঁচ টাকা। ব্যবসায়ীরা প্রতি মণে অতিরিক্ত নেন ১ কেজি। সার কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি সব বেড়ে গেছে। মরিচ বিক্রি করতে পারলাম না। এখন আমি বাড়ির জন্য বাজার করব কী দিয়ে। শ্রমিককে টাকা দেব কীভাবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলা প্রশাসন থেকে ২০২৩-২০২৪ সালে খাজনা নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩ টাকা। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তারা তোয়াক্কা করছে না। মরিচ ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, আগে আমরা ট্রাকপ্রতি ২০০ টাকা খাজনা দিতাম। এখন প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী দিলে এখন প্রতি ট্রাকে ৬ হাজার টাকা খাজনা দিতে হবে। তাই মরিচ কেনা বন্ধ করে দিয়েছি।

শালবাহান ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম জানান, খাজনার পরিমাণ বেশি হয়েছে এ অভিযোগ ব্যবসায়ীরা করেনি। তেঁতুলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল আলম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সম্ভবত ভুল করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আপাতত তিনি আগের নির্ধারিত খাজনাই আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর