শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মেঘনা তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

লঞ্চঘাট মাছঘাট ও পাঁচ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

ভোলা প্রতিনিধি

মেঘনা তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

ফাটল দেখা দিয়েছে আরও অনেক জায়গায়

বছর না ঘুরতেই আবারও ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় ভয়াবহ ধস শুরু হয়েছে। উত্তাল মেঘনা নদীর তীব্র স্রোত আর ঢেউয়ের আঘাতে সোমবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিসি ব্লক বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধসে যায়। এতে লঞ্চঘাট, পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি মাছঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে গত বছর ইলিশার একই এলাকায় ব্লক বাঁধ ধসে একজন নিহত হয়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে ও যেখানে সেখানে লঞ্চঘাট নির্মাণ করায় এমন ধসের ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় ৫০-৬০ হাত পরিমাণ ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে আরও অনেকখানি জায়গাজুড়ে। লোকজন তাদের দোকানপাট অন্যত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, ব্লক যদি আরও ৫০ হাত ভেঙে যায় তা হলে মূল বেড়িবাঁধ বা ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ইলিশায় এ ব্লকগুলো ভেঙে নদীর মধ্যে যাবে এবং স্লোভ হয়ে নদীভাঙন ঠেকাবে। এটা তাদের ডিজাইন। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোত বেড়ে গেছে। নদীর পাড়ে আঘাত করছে। তাই ভাঙছে। তিনি আরও জানান, পাশেই দুটি ফেরিঘাট থাকলেও সেখানে ভাঙছে না। কারণ সেখানে ফেরিঘাটের উপযোগী করে ডিজাইন করে ব্লক ফেলা হয়েছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটি যেখানে সেখানে নতুন নতুন লঞ্চঘাট তৈরি করে। সেখানে লঞ্চগুলো প্রচুর ধাক্কা দেয়। কিন্তু ওই ঘাটের জন্য পাউবোর বিশেষ ডিজাইন করে প্রয়োজনীয় ব্লক দেওয়া হয়নি। যে কারণে এমন ব্লক ধসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে ভাঙন বা ধসের পরিমাণ কতটুকু হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১৪-১৫ সালে ভয়াবহ নদীভাঙনের কবলে পড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর স্থায়ী ভাঙন রোধে ২০২১ সালে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই এলাকার ৪ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ ব্লক বাঁধ ও সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদী সংরক্ষণ সিসি ব্লক বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

সর্বশেষ খবর