শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দাবদাহে বিপাকে মরিচ চাষি

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

দাবদাহে বিপাকে মরিচ চাষি
► ‘শুধু মরিচ নয় কচু, ভুট্টা, কলা, করলা, পটোলসহ বিভিন্ন ফসল তীব্র দাবদাহে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে’
► ‘মরিচ গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। প্রখর রোদে ফুলগুলো লালচে বর্ণ ধারণ করে ঝরে পড়ছে’

 

বগুড়ায় টানা কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহে মরিচ চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। প্রখর রোদে মরিচ গাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। চাষিরা বলছেন, এমন অবস্থা চলমান থাকলে মরিচ গাছ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বগুড়ায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টি হওয়ার ও তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। জানা যায়, দেশের অন্যান্য জেলার মধ্যে মরিচ চাষে বগুড়া অন্যতম। জেলার বিশেষ করে বগুড়া সদর, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, শাজাহানপুর, কাহালু, নন্দীগ্রাম ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপকভাবে মরিচ চাষ করেন কৃষকরা। কিন্তু কয়েক দিনের টানা তীব্র দাবদাহের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিতে। প্রখর রোদ ও তাপের কারণে কৃষকরা মরিচ চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। শুধু মরিচ নয় কচু, ভুট্টা, কলা, করলা, পটোলসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ রকম দাবদাহ চলতে ও মরিচসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হলে এর প্রভাব কাঁচাবাজারেও পড়বে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বগুড়ায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাষাবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৭১৮ হেক্টরে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট ও শিবগঞ্জ উপজেলায় বেশি চাষ হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ, মুখী কচু ৩৫০ হেক্টর, ১০০ হেক্টর কলা ও ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার আকন্দ পাড়ার কৃষক ময়নুল হাসান জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে দেশি মাগুড়া জাতের মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু তীব্র দাবদাহে গাছ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদে ফুলগুলো লালছে বর্ণ ধারণ করে ঝরে পড়ছে। এ বছর মচির চাষে প্রতি বিঘায় ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বগুড়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরিদুর রহমান ফরিদ বলেন, এরকম গরম অব্যাহত থাকলে মরিচ গাছ মরে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রাতে খেতে সেচ দিতে হবে। দিনের বেলায় মাটি প্রচ- গরম থাকে। দিনে জমিতে সেচ দিলে মরিচ গাছ মরে যেতে পারে ও ফুল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা বেশি থাকে। মরিচ, কলা, কচু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল রক্ষার জন্য ব্লক সুপারভাইজারসহ আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর