রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

সামাজিক বিরোধে তিন জেলা রণক্ষেত্র

জামালপুরে বৌ-শাশুড়ি দ্বন্দ্বে প্রাণহানি, হবিগঞ্জে রাস্তা দখল নিয়ে ৩০, পটুয়াখালীতে মাহফিলের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রতিদিন ডেস্ক

সামাজিক বিরোধে তিন জেলা রণক্ষেত্র

সামাজিক বিরোধে জামালপুরের মাদারগঞ্জে একজন নিহত ও আহত হয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া হবিগঞ্জ ও পটুয়াখালীর দুমকীতে ব্যাপক হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। শুক্রবার রাত ও গতকাল এ সংঘর্ষ-হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : জামালপুরের মাদারগঞ্জে বউ-শাশুড়ি দ্বন্দ্বে প্রাণ গেছে জয়নাল আকন্দ (৪০) নামে এক ব্যক্তির। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। উপজেলার মির্জাপুর আকন্দ বাড়িতে গতকাল এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনরা জানান, জয়নালের চাচাতো বোন ফুলেরা বেগমের বিয়ে হয় পাশের বাড়ির শাবু মিয়ার ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে তাদের কলহ লেগেই থাকত। ঘটনার দিন ফুলেরার সঙ্গে শাশুড়ির ঝগড়া শুরু হলে ঘটনাস্থলে যান জয়নাল ও তার ভাই। তখন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাবু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন জয়নালের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। লাঠির আঘাতে আলমগীর, বাবুল ও রবিজল নামে আরও তিনজন আহত হন। তাদের মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জামালপুর নেওয়া পথে জয়নাল মারা যান।

হবিগঞ্জ : রাস্তার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার কৃষ্ণরামপুর গ্রামে গতকাল এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কৃষ্ণরামপুরের সুন্দর আলীর লোকজনের সঙ্গে পাশের বনগাঁও গ্রামের আলী হোসেনের লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। শনিবার দুপুরে আলী হোসেনের লোকজন বিরোধপূর্ণ রাস্তার জায়গা ভরাট করে ফেলেন। এতে সুন্দর আলীর লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুমকী (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মুন্সির বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব কার্তিকপাশার আবদুল গনির ছেলে নেছার উদ্দিন নোমান প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মাহফিলের কমিটিতে এবং পোস্টারে সোবহান গংয়ের কারও নাম না রাখায় নেছার ও সোবহানের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। মাহফিলে ডেকোরেশনের মালামাল নিতে গতকাল বাধা দেন সোবহানের লোকজন। তখন সালাউদ্দিন বাপ্পি তাকে অপমান করেন। বিষয়টি সমঝোতা করে দেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা। এর জেরে সন্ধ্যায় মুন্সির বাজারে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল শরীফ বলেন, সোবহান মুন্সি'র শ্যালক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রুবেলের মধ্যস্থতায় মাহফিল কমিটির দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য বলা হলেও পরবর্তীতে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে ১৫ জনের মত আহত হন। এদিকে মাহফিলের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টিকে অস্বীকার করে ইলিয়াস মুন্সি বলেন, মূলত পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলা ঘটনা ঘটেছে। দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, ‘ওয়াজ-মাহফিলে পোস্টারে নাম নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর