সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস রোগী

♦ ঘন ঘন লোডশেডিং ♦ চলে না জেনারেটর ♦ বিঘ্নিত স্বাস্থ্যসেবা

আবদুল বারী, নীলফামারী

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস রোগী

তীব্র গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও লোডশেডিংয়ের সময় তা চালানো হয় না। এতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে মাঝরাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় হাসপাতালের জেনারেটর অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চালানো সম্ভব হয় না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, আট বছর আগে ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হিসেবে ইঞ্জিনচালিত ৮ কেভি (কিলো ভোল্ট) ক্ষমতার জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই জেনারেটর দিয়ে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিদ্যুৎ না থাকলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু জেনারেটর চালানোর জন্য তেল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে জেনারেটরটি হাসপাতাল বা রোগীর কোনো কাজেই আসেনি। সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সিলিংয়ে ঝুলছে বৈদ্যুতিক পাখা। বিদ্যুৎ না থাকায় সবগুলোই বন্ধ। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা নিতে রোগীরা গরমে ছটফট করছে। লোডশেডিংয়ের সময় স্বজনরা হাতপাখা ঘোরালেও গরম কাটছে না। তারা জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে অসহনীয়       পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তখন হাতপাখাই তাদের ভরসা। রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য কোনো উপায়ে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর ব্যবস্থা করা হোক দাবি তাদের। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার গয়াবাড়ী এলাকার বৃষ্টির বাবা আবু বক্কর বলেন, দুই দিন ধরে এ হাসপাতালে তার মেয়ের চিকিৎসা চলছে। গরমে মেয়েটি ছটফট করে। বিদ্যুৎ চলে গেলে কাহিল অবস্থা হয়। আরেক রোগীর স্বজন আকমত আলী জানান, দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ যায়। এ সময় শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতীসহ উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খুব কষ্ট হয়। ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের নিজস্ব জেনারেটর আছে। পর্যাপ্ত জ্বালানি বরাদ্দ না থাকায় সব সময় চালানো হয় না।

সর্বশেষ খবর