মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

শুকিয়ে গেছে পানির উৎস

শৌচাগার গোসলের পানিও মিলছে না

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

শুকিয়ে গেছে পানির উৎস

বাগেরহাটে মৌসুমি বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহে পুকুর-খাল, ডোবা-নালা শুকিয়ে গেছে। এখন খাবার পানির জন্য হাহাকার করছে উপকূলীয় শরণখোলার মানুষ। গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের পানি এমনকি শৌচাগারে ব্যবহারে পানি জোগাড় করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার থেকে শুরু করে চারটি ইউনিয়নের পুকুরে বসানো পিএসএফগুলোও (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) কোনো কাজে আসছে না। খাবার পানি সংগ্রহ করতে মাইলকে মাইল পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে লোকজনকে। কোথাও খাবার পানির সন্ধ্যান পেলে কলস, বালতি, হাঁড়িপাতিল, কন্টেইনার, বোতল নিয়ে সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে নারী-পুরুষ, শিশুরা। গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের পরিবারগুলো পড়েছে মহাবিপাকে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস বলছে, শুষ্ক মৌসুমে খাবার এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহারের পানি সংকটে থাকে ৭০ ভাগ মানুষ। সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামের মজিবর শিকদার ও আলামীন ফরাজি জানান, ‘বাড়ির পুকুরে এক ফোঁটাও পানি নেই। বৃষ্টি না হওয়া ও তীব্র তাপপ্রবাহে পুকুর শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। গোসলের পানি দূরের কথা শৌচাগারে ব্যবহারের পানিও নেই। পুরুষরা দূরে কোথাও গিয়ে গোসল সারতে পারলেও বাড়ির মহিলারা পড়েছেন মহাদুর্ভোগে। উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলো পুনঃখনন করে সেখানে পানির ফিল্টার স্থাপন এবং বন্ধ থাকা পিএসএফগুলো মেরামত করলে সংকট অনেকটা কমে আসবে। ডা. কেয়ামনিন জানান, বর্তমানে হাসপাতালে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও চর্মরোগী মিলিয়ে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ রোগী দেখতে হয়।

সর্বশেষ খবর