শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অব্যবস্থাপনায় সেবাবঞ্চিত রোগীরা

চিকিৎসক-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

অব্যবস্থাপনায় সেবাবঞ্চিত রোগীরা

সাতক্ষীরা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাতক্ষীরা সরকারি বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা। এখানকার চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা এবং অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। ডাক্তার অনুপস্থিত থাকায় বহির্বিভাগ থেকে টিকিট কেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে। সাতক্ষীরা শহরের পারকুখরালীতে অবস্থিত জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। অভিযোগ রয়েছে, এখানকার চিকিৎসক ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন এক্সরে মেশিন নষ্ট। এ কারণে চরম ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রায় সময় ডাক্তার পান না। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে কষ্ট ও টাকা খরচ করে এসে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে হয় রোগীদের। প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শত শত রোগী। সরেজমিনে দেখা গেছে, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসক, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহকারীসহ ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিকাংশই ঠিকমতো অফিসে আসেন না। এ সময় এক্সরে রুম বন্ধ থাকায় টেকনিশিয়ান শেখ নোমান জানান, তিন মাসের বেশি সময় ধরে এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সেটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট ও নষ্ট হওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা শহরের পলাশপোল এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি সকাল ৯টার সময় এসে বহির্বিভাগ থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বেলা ১১টা পর্যন্ত বসে ছিলেন। কিন্তু দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তখন পর্যন্ত তিনি ডাক্তারের দেখা পাননি। তার মতো আরও ২০-২৫ জন রোগী টিকিট সংগ্রহ করে ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে ছিলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার পর ডাক্তার না আসার তথ্য জানতে পেরে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহর থেকে আসা রোগীরা ফিরে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, স্টাফরা ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন না করে মাসের পর মাস বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন।

হোম ভিজিটর জয়নাব বলেন, ক্লিনিকের বাউন্ডারির মধ্যে থাকা সব সরকারি গাছগাছালি দেখাশোনা করি। সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান অফিস সহকারী আশেক নেওয়াজ জানান, অফিসার কেউ ছুটিতে থাকলেও অন্তত একজন উপস্থিত থাকা উচিত। বিষয়টি জানতে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর