শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্যাপ থেকে বিচ্ছিন্ন পাইল, সরে গেছে মাটিও

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, দুর্ঘটনার শঙ্কা

নাটোর প্রতিনিধি

ক্যাপ থেকে বিচ্ছিন্ন পাইল, সরে গেছে মাটিও

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলায় বড়াল নদের ওপর নির্মাণ করা সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাইলের মাটি সরে যাওয়ায় এবং ক্যাপ থেকে একটি পাইল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক ভারী যানবাহন ও হাজারও মানুষ চলাচল করে। এখানে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ও সেতু ব্যবহারকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের খরস্রোতা বড়াল নদ শুকনো মৌসুমে একেবারে শুকিয়ে যায়। ফলে ব্রিজের নিচে পাইলের অংশ সবার নজরে এসেছে। ব্রিজের চারটি পিলারের মাঝখানের একটি পিলারের পাইলগুলোর গোড়ার মাটি সরে গেছে। ভারী যানবাহন চলাচলের সময় ওই স্থানে ব্রিজটি অনেকটা দোল খায়। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তাদের।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নে ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বড়াল নদের ওপর ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল নাটোরের মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিন দেখা যায়, নদীটি শুকিয়ে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। সেখানে চাষ করা হয়েছে বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। ব্রিজটিতে ৪টি পিলারের অন্যগুলো ঠিক থাকলেও মাঝের একটি পিলারের ১২টি পাইল প্রায় দুই থেকে আড়াই ফুট বের হয়ে গেছে। পাইলগুলোর সঙ্গে যে ঢালের মাধ্যমে পিলার সংযুক্ত রয়েছে, সেই ঢাল থেকে একটি পাইল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আশপাশ শুকিয়ে গেলেও ওই স্থানে এখনো সামান্য পানি জমে আছে। ওই স্থানটি আশপাশ থেকে বেশ কিছুটা গভীর। স্থানীয়দের ধারণা, বালু উত্তোলনের ফলে অথবা নদ থেকে কোনো সময় মাটি কাটার ফলে ব্রিজটির ওই অংশ থেকে মাটি সরে গেছে। পথচারী ও যানবাহন চালকেরা জানান, তমালতলা-সাদিমারা মোড় পর্যন্ত সড়কটি গত বছর সংস্কার করায় এবং মালঞ্চি-আড়ানীর প্রধান সড়কের গালিমপুর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারী যানবাহনগুলো পারাপারে এ ব্রিজ বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ ব্রিজও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত তারা পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, যদিও পাইলগুলো বেশ গভীর রয়েছে, তবুও তার পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং একটি পাইল ক্যাপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য ব্রিজ বিশেষজ্ঞসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছিল। কয়েক দফা এ ঊর্ধ্বতনরা ব্রিজটি পরিদর্শন করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর