শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুধ উৎপাদকরা হতাশায়

প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

দুধ উৎপাদকরা হতাশায়

জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রতি লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। দুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় ও গোয়ালদের সিন্ডিকেটের কারণে এখানে দুধের দাম কম। উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শতশত দুগ্ধ খামারি এবং কৃষক দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন। সেই সঙ্গে তারা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কয়েকজন দুগ্ধ খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালাই উপজেলায় প্রতিদিন পাঁচটি দুধের বাজারে প্রায় ৬০ মণ দুধ বেচাকেনা হয়। একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভির জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০-৬৫০ টাকা। আর একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০-৫৫০ টাকা। সেই হিসাবে এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকশান গুনতে হয়। আর একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে লোকশান হয় প্রায় ২০ টাকা।

বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক আবু রায়হান, আনোয়ার, শফিকুল, নয়ন কুমারসহ অনেকে জানান, গোয়ালদের সিন্ডিকেটের কারণে দুধের দাম কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান। দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, জামাল, সোহরাব হোসেন লেবুসহ গোয়াল জানান, কিছুদিন আগে প্রচুর পরিমাণ দই, মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। এখন মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্পদিনের জন্য দুধের বাজার মন্দা। স্থানীয় দুগ্ধ খামারি আবদুল আলিম সরকার ও শাহারুলসহ অনেকে জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত সংগ্রহ কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তা এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকশান মেনে নিয়েই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয় অনেকে দুগ্ধ খামারি পেশা থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন। কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার যেন স্বাভাবিক থাকে এ জন্য জয়পুরহাট জেলায় অচিরেই দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা। এতে দুগ্ধ খামারি এবং কৃষকরা ন্যায্যদামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর