সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বালু তোলায় হুমকিতে বাঁধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

বালু তোলায় হুমকিতে বাঁধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় পানিশূন্য পদ্মা নদী থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু - বাংলাদেশ প্রতিদিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার অনুপনগর ও কালিনগর এলাকায় ৬, ৭ ও ৮ নম্বর বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। শুকনো মৌসুমে নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ার সুযোগে ভেকু মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে একটি চক্র। এতে আসন্ন বর্ষায় বাঁধ তিনটি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়বে আশঙ্কা স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। এরপরও বালু তোলা বন্ধ না হওয়ায় নদীতীরের বাসিন্দাদের শঙ্কা আরও বাড়ছে।

জানা যায়, ৬ নম্বর বাঁধ এলাকায় মমিন মাস্টারের নেতৃত্বে, ৭ নম্বর বাঁধ এলাকায় তৈমুর, সফিক কাটানি ও কালুর এবং ৮ নম্বর বাঁধ এলাকায় বালু তোলায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় লুটু মেম্বার। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন সদর উপজেলার চরঅনুপনগরে আবুল কালাম আজাদ বাবু এবং আবদুর রশিদ। ভেকু মাধ্যমে দিনে-রাতে অবৈধভাবে বালু তুলে ট্রাক্টর ভর্তি করে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া বাঁধ এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে তারেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অপরিকল্পিত, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে বাঁধগুলো হুমকিতে পড়েছে। তিন বাঁধ এলাকায় বালু তোলার জন্য প্রশাসন ম্যানেজের নামে জনৈক জাফরুল প্রতিদিন মোটা অংকের অর্থ আদায় করছেন বলে জানা গেছে। তবে জাফরুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ওসবের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি যদি জড়িতই থাকতেন তাহলে অতিসম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাটি বহনের দায়ে যে দুটি ট্রাক্টর আটক করেছে সেগুলো তারই হতো। কিন্তু ওই ট্রাক্টর দুটির মালিক তারেক। এলাকার প্রতিপক্ষরা তার নামে এসব রটাচ্ছে বলেও দাবি করেন জাফরুল।

৭ নম্বর বাঁধ এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত তৈমুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, সেখানে বালু তোলা হচ্ছিল কিন্তু বর্তমানে বন্ধ আছে। অভিযুক্ত অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুন বলেন, অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোথাও বালু তোলার খবর পেলেই সেখানে অভিযান চালানো হয়।

সর্বশেষ খবর