মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে ভয়ংকর অপরাধী চক্র

♦ ছিনতাইকারীদের হাতে ১০ মাসে তিন খুন ♦ আতঙ্কিত পথচারী ও যাত্রীরা

এম এ শাহীন, সিদ্ধিরগঞ্জ

সড়কে ভয়ংকর অপরাধী চক্র

অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু থেকে লিংকরোড পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা। বিশেষ করে কাঁচপুর সেতু এলাকাটি সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ মহাসড়ক দিয়ে পূর্বাঞ্চলের ১৮ জেলার দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্র্ণ এ সেতুটি দিয়ে হেঁটেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এ সেতুতে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণপিপাসুও ভিড় করেন।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সেতুটিতে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি না থাকার সুযোগে সন্ধ্যা নামলেই ভয়ংকর হয়ে উঠে সশস্ত্র ছিনতাইকারীরা। গত ১০ মাসে এখানে ছিনতাইকারীদের হাতে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ তিনজন নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। ছিনতাইকারীদের কবল থেকে প্রবাসী, পরিবহন শ্রমিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রক্ষা পাচ্ছেন না। এতে যাত্রী ও পথচারীরা চরম আতঙ্কে ভুগছেন। জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত পৌনে ৯টায় মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. সিফাত (১৯) এক বন্ধুকে নিয়ে কাঁচপুর সেতু এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ এপ্রিল মারা যান সিফাত। এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান সুভাস চন্দ্র শর্মা (৪৫) নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক। এ দুটি ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই খুন হন আরমানুল ইসলাম রোহান (২২) নামে একজন। এ সময় তার ভাই আরমানুল ইসলাম রিপন (২০) ছুরিকাঘাতে আহত হন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়াও একই এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নিঃস্ব হন অনেকে। হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ এ কে এম শরফুদ্দিন বলেন, ছিনতাই রোধে আমরা টহল বাড়াচ্ছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর