মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাস্তার হাজারো গাছ উজাড়

♦ ক্ষোভ পরিবেশবাদী ও স্থানীয়দের ♦ ইটভাটায় যাচ্ছে এসব গাছ

নাটোর প্রতিনিধি

রাস্তার হাজারো গাছ উজাড়

নাটোরে রাস্তার পাশের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নাটোরের লালপুরে রাস্তার দুই পাশে সহস্রাধিক গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এক কিলোমিটারজুড়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছায়া দেওয়া গাছগুলো কেটে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদী ও স্থানীয়রা। তারা বলছেন, সড়কের এসব গাছ কাটা উচিত হচ্ছে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এসব গাছ না কাটার দাবি তাদের।

জানা গেছে, উপজেলার মোহরকয়া কলেজ থেকে অমৃতপাড়া ও কলেজের পেছন থেকে রহিমপুর পর্যন্ত দুই প্লটে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১২ বছর আগে কয়েক হাজার ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে উপজেলা বনবিভাগ। ২০২৩ সালে প্রায় ১ হাজার গাছ কাটার জন্য গাছের গায়ে নম্বর দিয়ে দরপত্র স¤পন্ন করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গাছগুলো থাকা জরুরি মনে করছেন পরিবেশবাদী ও স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাস্তার ধারে ইতোমধ্যে ৭ শতাধিক গাছ কাটা স¤পন্ন হয়েছে। যা আশপাশের ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখনো প্রায় ৩০০ গাছের গায়ে নম্বর বসানো। সেগুলোও কাটা হবে। সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার ধারে সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্য আর নেই।

স্থানীয় কৃষক মহাসিন আলী বলেন, আমরা এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। ক্লান্ত হয়ে পড়লে প্রায়ই সড়কে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতাম। গাছগুলো কাটায় এখন আর তা হবে না। সিয়াম আহম্মেদ বলেন, এক মাস আগেও এই সড়কে আরামে চলাচল করত পথচারীরা। এখন সেখানে তীব্র রোদ লাগে। বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, গাছগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তিনি গাছ না কাটার দাবি জানান।

পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতা আলমগীর কবির বলেন, লালপুর দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম এবং কম বৃষ্টিপাতের উপজেলা। এখানে বনায়ন খুবই কম, সেখানে বনবিভাগ এভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারে না। রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, সমিতির নিয়ম অনুসারে গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নেই। ইউএনও শারমিন আখতার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে বনবিভাগের সঙ্গে কথা বলে দেখবেন।

সর্বশেষ খবর