ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বন্ধ রয়েছে অপারেশন। আট বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৬৫০-৭০০ জন, অন্তঃবিভাগে ৫০-৫৫ জন এবং ল্যাবে ২০-৩০ রোগী সেবা নেয়। হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সার্জারি এবং অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় উন্নত অপারেশন থিয়েটার থাকলেও অপারেশন বন্ধ রয়েছে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৩১ শয্যার সেবাদান কার্যক্রমে বিভিন্ন পদে জনবল থাকার কথা ১২২ জন। বর্তমানে জনবল আছে ৮৪ জন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদ ফাঁকা পাঁচটি। বাকি ৩৩টি শূন্যপদ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের। প্রথম শ্রেণির আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ১টি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী সার্জনের তিনটি ও সিনিয়র স্টাফ নার্সের ১টি পদ শূন্য রয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এসআই) পদে ১ জন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে ১ জন, স্টোর কিপার পদে ১ জন, ওয়ার্ড বয় পদে তিনজন, আয়া পদে দুজন এবং কুক পদে দুজন থাকার কথা থাকলেও এসব পদে জনবল শূন্য রয়েছে। এ ছাড়াও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের চারটি, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের তিনটি, স্বাস্থ্য সহকারীর পাঁচটি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের দুটি, নিরাপত্তা কর্মীর ১টি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চারটি এবং অফিস সহায়কের চারটি পদ শূন্য আছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের অনুমোদন পেলেও জনবল পাইনি এখনো।
কয়েক দিন আগে দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছিল। তখন ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা রোগীর চাপ বৃদ্ধি পায়। তখন হাসপাতালে নির্ধারিত বেড ছাড়াও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে অনেক রোগীকে। এ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়লে ওষুধের স্বল্পতা এবং বেডের বেশি রোগীদের খাবার সংকটও দেখা দেয়। তবে নানা সমস্যার পরেও হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বেড়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, জনবল সংকটের মাঝে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হলে সমস্যা বাড়ে। প্রতিদিন আউটডোরে ৪০০-৫০০ রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। এর পরেও সেবার মান বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। আউটডোরে রোগীদের ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।