সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক

ফরিদপুরের সালথায় অবৈধভাবে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। দিন-রাতে জমির ওপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রি করছে কিছু অসাধু লোক। ৩-৪ মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটার প্রবণতা বেড়েছে। প্রশাসন মাঝেমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও বন্ধ হচ্ছে না মাটি কাটা। জানা যায়, প্রতি বছর এই উপজেলায় কাটা হয় আবাদি জমির মাটি। এতে দিন দিন জমির পরিমাণ কমছে। বিক্রীত মাটি বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহার হয় অবৈধ ট্রলি। মাটিবোঝাই ট্রলি চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তা। অতিরিক্ত ট্রলি চলায় বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তাগুলোতে কাদা হয়ে যায়। আর পাকা সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, সালথা উপজেলায় কয়েকটি শক্তিশালী মাটি ব্যবসায়ী চক্র গড়ে উঠেছে। তারা তিন ফসলি জমির মাটি বিক্রির ব্যবসা করছে। জমির উর্বর মাটি কেটে বিক্রি করছে বিভিন্ন ইটভাটা ও গৃহস্থের কাছে। ভাটা মালিকরা দালালের মাধ্যমে সাধারণ কৃষককে লোভে ফেলে ফসলি জমির মাটি কিনছেন। আবার কেউ কেউ লোভে পড়ে নগদ টাকার আশায় মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ৮-১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটায় অনেক জমি পরিণত হয়েছে ডোবায়। সরেজমিনে দেখা যায়, রাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যদুনন্দি ইউনিয়নের খাড়দিয়া এবং ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রাম থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৮-১০টি ট্রলি। এ ছাড়া ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া, নারানদিয়া, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খলিশপট্টি, বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল, সোনাপুর ইউনিয়নের মিনাজদিয়ায় এবং গট্টি ইউনিয়ন থেকেও চক্রের সদস্যরা ভেকু দিয়ে নির্বিঘ্নে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সালথার ইউএনও আনিছুর রহমান  বলেন, ফসলি জমি মাটি বিক্রির খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর