চারদিকে ধান আর ধান। দেখে মনে হবে বিশাল ফসলের মাঠ। অনেকে পাকা ধান কাটছেন। কয়েকজনকে গরু চরাতেও দেখা গেছে। দেখে আবাদি জমি মনে হলেও এটি আসলে নওগাঁর এক সময়ের খরস্রোতা ছোট যমুনা নদী। শুকিয়ে যাওয়ায় বদলগাছী উপজেলার তেজাপাড়া, কাদিবাড়ি এলাকায় নদীর বুকে ধান চাষ করেছেন শতাধিক কৃষক। নদীতে আবাদ করা ধান কাটছেন কৃষক-শ্রমিকরা। কেউ কেউ কাটা ধান আঁটি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি। সেখানে গিয়ে কথা হয় তসলিম, আফজাল, রফিকুল, শামিম ও মোস্তফার সঙ্গে। তারা জানান, আমরা ৫-৭ জন মিলে নদীর বেশকিছু জায়গায় ধান চাষ করেছি। নিজেরাই ধান কাটছি। এ ধান দিয়ে আমাদের সারা বছরের সংসার চলে। অবশ্য সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় কোনো কোনো স্থানে পানি জমতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পর পানিতে ভরে যাবে নদীটি। তারা আরও জানান, উত্তর দিকের তেজাপাড়া সেতু থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন লোক শুষ্ক মৌসুমে নদীর বুকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। নদী শুকালে আমরা ধান চাষ করি। যা দিয়ে চলে সংসার। নদীতে গজানো ঘাস খাওয়াতে গরু নিয়ে এসেছেন এক যুবক। তিনি জানান, প্রায় দেড় মাসে আগে এ নদী শুকিয়ে গেছে। নওগাঁর নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের প্রতিবাদে একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আবদুল বারী বলেন- বিভিন্ন নদী, খাল-বিল, প্রাকৃতিক বনায়নে ভরপুর আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আমাদের বিরূপ আচরণের কারণে নিজেরাই প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে ধ্বংস করে ফেলছি। সারা দেশের নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি জনসচেতনতার অভাবও দায়ী। বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান বলেন, উপজেলায় এবার ১১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে।