শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া

বাঁধ নির্মাণ বন্ধ তিন বছর

♦ বন্যা আতঙ্কে হাজারো মানুষ ♦ হুমকির মুখে চেকপোস্ট

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

বাঁধ নির্মাণ বন্ধ তিন বছর

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রায় তিন বছরেও নির্মাণ হয়নি মনু নদের বাঁধ। কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তে ১ হাজার ৪০০ মিটার এলাকায় ভাঙন তীব্র হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বর্ষায় বন্যা আতঙ্কে রয়েছে। চাতলাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টটিও হুমকির মুখে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্যা আর মনু নদের ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও রাজনগরকে রক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে নদের তীর সংরক্ষণ ও বাঁধ মেরামতে প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০২১ সালে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নদের বাঁধ মেরামত ও তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করে। তবে তার পরই এ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিন বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তের মনু নদ প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি পয়েন্টে ১ হাজার ৪০০ মিটার এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। শরীফপুর ইউনিয়নের বাঁধের এ অংশ অনেক আগেই নদের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে গেছে। বর্ষায় নদে পানি বাড়লে কোনটি প্রতিরক্ষা বাঁধ, কোনটি নদ আর কোনটি গ্রাম বোঝার উপায় থাকে না। সীমান্তবর্তী এ ইউনিয়নের মানুষ এখন বন্যা আতঙ্কে রয়েছে। ২০১৮ সালের বন্যায় পুরো ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় তারা। ওই সময় চাতলাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্ট বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষার আগেই নদ প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করতে হবে। না হলে বন্যা আতঙ্কে থাকতে হবে। পাউবোর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, ১ এপ্রিল পাউবো তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে একটি টিম সীমান্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর কাজ শুরু করার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর আরও কয়েকবার আবেদন করা হয়। ভাঙনের পাঁচটি স্থান দেখার অনুমতি মিললে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর