শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
নীলফামারীর সৈয়দপুর

বেহাল ১৫ সড়ক

সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলোয় কার্পেটিং উঠে গর্ত, খানাখন্দ তৈরি হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি

বেহাল ১৫ সড়ক

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরশহরের ১৫টি সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। খানাখন্দের কারণে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা, বিমানবন্দর, সেনানিবাস, ১০০ শয্যা হাসপাতাল, বাস টার্মিনাল, ছোটবড় ৫ শতাধিক শিল্পকারখানা রয়েছে। রয়েছে শতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়। পৌরসভার বিগত বাজেটে উন্নয়ন খাতে প্রায় ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার পরও এ পৌরসভার রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ।

সরেজমিন শহরের ১৫টি সড়কের বেহাল চিত্র দেখা গেছে। শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের মদিনা মোড়ে পিচপাথরের কার্পেটিং উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। তার ওপর এখানে সব সময়ই নোংরা পানি জমে থাকে। জিআরপি মোড় স্মৃতি অম্লান চত্বর থেকে রেলওয়ে কারখানাগামী ১ কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। এখানে যানবাহন দূরের কথা, হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর। তার পরও বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী। শহীদ জহুরুল হক সড়কের শেখ রাসেল চত্বর (কলিম মোড়) থেকে বাঁশবাড়ি সাহেবপাড়া মিস্ত্রিপাড়া হয়ে বাইপাস পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৩০টি স্থানে ভাঙা, খানাখন্দ। ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ শেরেবাংলা সড়কের তামান্না মোড় থেকে বাইপাস সড়কের ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত করুণ অবস্থা। জেলা শহর নীলফামারীসহ ডোমার, জলঢাকা, ডিমলা উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের রুট এটি। একই অবস্থা পৌর এলাকার গোলাহাট থেকে সরকারপাড়া, বঙ্গবন্ধু সড়কের রোস্তম মোড় থেকে দারুল উলুম মাদরাসা মোড় হয়ে উপজেলা পরিষদ, শেরেবাংলা সড়কের এলএসডি মোড় হয়ে ধলাগাছ মোড়, বাঁশবাড়ি টালি মসজিদ থেকে সাদ্দাম মোড় পর্যন্ত। চাউলহাটি থেকে কাজীপাড়া মোড়, কিছুক্ষণ মোড় থেকে মহিলা কলেজ ও খেজুরবাগ মসজিদ হয়ে কয়ানিজপাড়া ও সরকারপাড়া সড়ক, বিজলি মোড় থেকে মুসলিম স্কুল, মুজার মোড় থেকে জামবাড়ি মোড় সড়কের অবস্থাও খারাপ। বাঁশবাড়ি এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক আহম্মেদ হোসেন বলেন, ‘এমন খানাখন্দ রাস্তায় নিরুপায় হয়ে গাড়ি চালাই। কিন্তু প্রতিদিনই কোনো না কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় এসব রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হেলে গিয়ে অন্য গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগাসহ উল্টে যায়।’ নতুন বাবুপাড়ার আমিনুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তাগুলো এতটাই খারাপ যে গাড়িতে চড়ে চলাচল মুশকিল। সকালবিকাল যাতায়াত করায় ব্যথায় কাতর অবস্থা।’

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বলেন, ‘বরাদ্দের অভাবে রাস্তার বড় সংস্কার শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অল্প বাজেটে বেশ কিছু সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। যেগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন তা চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব সড়কের সংস্কার শুরু হবে।’

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর