বুধবার, ২২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটুপানি

♦ ভোগান্তি শিক্ষার্থী পথচারীসহ হাজার হাজার মানুষের ♦ নষ্ট হয় শিশুদের কাপড় বইখাতা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটুপানি

সামান্য বৃষ্টি হলেই জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাকা সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগে পড়ে যানবাহন চালক, শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। তাদের ভাষ্য, অপরিকল্পিতভাবে নালা নির্মাণের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ পানি নামতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় ছোট শিশুদের পরনের কাপড়, বইখাতা পানিতে নষ্ট হয়।

জানা যায়, উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের নুনুজ বাজার ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র মোড় এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে যায়। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের ১৫-২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। বৃষ্টি শেষ হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমে থাকে পানি। পাকা রাস্তার দুই পাশের বসতবাড়ি উঁচু স্থানে নির্মিত হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে সড়কের এ অবস্থা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, নুনুজ বাজার ও হাতিয়র মোড় এলাকায় দুটি পাকা সড়ক ও পানিনিষ্কাশন নালার অবস্থা নাজুক। বৃষ্টির পর এখানে পাকা সড়কে জমে থাকে একহাঁটু পানি। আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এ পানি ঢুকে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থী, যানবাহন চালক ও পথচারীরা।

নুনুজ ও হাতিয়র বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এখানকার ধান ও আলু প্রতিদিন পণ্যবাহী ট্রাকে বিভিন্ন জেলায় নেওয়া হয়। সড়ক ও ড্রেনেজ সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নুনুজ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব বলেন, দিনদিন এ বাজারের পরিবেশ ব্যবসা ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। পাকা সড়কে জমে পানি। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনাও ফেলা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ বলেন আর উপজেলা পরিষদই বলেন কর্তৃপক্ষ কিছু করছে বলে মনে হয় না। হাতিয়র কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কামিল মাদরাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশ গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে কষ্ট পাচ্ছে। তাদের উপস্থিতিও কমে গেছে।’ জামুরা-বাসুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়ারেছ বলেন, ‘এ রাস্তায় প্রায়ই হাঁটুপানি জমে থাকে। পরিকল্পিত ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানি বেরও হয় না। ছোট শিশুরা এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় পরনের কাপড় ভিজে যায়। বইখাতা পানিতে পড়ে নষ্ট হয়।’ এ রাস্তা দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি। আহম্মেদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, ‘এ সমস্যা এক দিনের নয়, চাইলেই সমাধান করা যাবে না। তবে এ বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে। আগে ড্রেন তারপর রাস্তার ব্যবস্থা।’ কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, ‘দুই পাশে উঁচু করে বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় সড়ক নিচু হয়েছে। যে কারণে আশপাশ থেকে বৃষ্টির পানি এখানে ঢোকে। রাস্তার উন্নয়নসহ ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

 

 

সর্বশেষ খবর