সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেচপাম্প কৃষকের আশীর্বাদ

► বোরোর বাম্পার ফলন ► ছয় গ্রামে খুশির বন্যা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সেচপাম্প কৃষকের আশীর্বাদ

সেচের অভাবে তিন ফসলি জমি হয়ে পড়েছিল এক ফসলি

কুমিল্লার দেবিদ্বারে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পাঁচটি সেচপাম্প চলতি বছরে চালু হয়েছে। এসব পাম্পের মাধ্যমে সহজে সেচ দিতে পারায় ছয় গ্রামের কৃষক এবার বোরোর ভালো ফলন পেয়েছেন। ওই ছয় গ্রামে নেমেছে খুশির বন্যা। ৩০০ কৃষক পেয়েছেন প্রায় কোটি টাকার ধান। স্থানীয় সূত্র জানায়, দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর, চন্দ্রনগর ও বারুর এলাকার সেচ বন্ধ থাকায় গত তিন বছরে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ সম্ভব হচ্ছিল না। আউশ ও রোপা আমন মৌসুমেও প্রয়োজনীয় সেচ দিতে না পারায় বিঘ্নিত হয়েছে চাষাবাদ। তিন ফসলি জমিগুলো হয়ে পড়েছিল দুই ও এক ফসলি। অর্থ সংকট ও ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় চালু করা যাচ্ছিল না সেচপাম্পগুলো। এবার উপজেলা সেচ কমিটির হস্তক্ষেপে সব জটিলতা কাটিয়ে চরবাকর সেচপাম্পটি চালু হওয়ায় চরবাকর, চন্দ্রনগর ও বারুর এলাকার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে নির্বিঘ্নে বোরো আবাদ সম্ভব হয়েছে। একইভাবে গুনাইঘর ও শাকতলাসহ আরও একটি এলাকায় চারটি পাম্প অচল ছিল। সেগুলোও চালু করা হয়েছে। এতে আরও ৩০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আসে। সেচ ব্যবস্থাপনার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় কৃষকরা জানান, গোমতী নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি তুলে সেচ দেওয়া হয়। ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুইবার ট্রান্সফরমার চুরি হওয়া, ম্যানেজার পরিবর্তন ও টাকা তুলতে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে সৃষ্টি হয় জটিল পরিস্থিতি। জটিলতা না কাটায় ২০২১ থেকে ২০২৩ এ তিন বছর সেচপাম্প চালু করা সম্ভব হয়নি। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, নতুন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখানে যোগদানের পর গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে এ বছর জটিলতার অবসান হয়েছে। কৃষক পানি পেয়ে মনের আনন্দে বোরো আবাদ করছেন। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের চরবাকর সেচপাম্প দীর্ঘদিন চালু না হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। উপজেলা সেচ কমিটির হস্তক্ষেপে এবার পাম্পগুলো করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া গুনাইঘর ও শাকতলা গ্রামের কিছু পাম্প চালুর মাধ্যমেও ৩০ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় এসেছে।

সর্বশেষ খবর