সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেতুর অভাবে যত ভোগান্তি

► বাঁশের সাঁকোয় নদী পারাপার ► কৃষিপণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

সেতুর অভাবে যত ভোগান্তি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম পশ্চিম ফুলমতী। এই গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ‘বারো মাসিয়া’ নদী। পশ্চিম ফুলমতীসহ আশপাশের কয়েক গ্রামে ৩০ হাজার মানুষের বাস। তাদের চলাচল করতে হয় নদী পার হয়ে। নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। বহুদিন ধরে এখানে সেতু নির্মাণের দাবি থাকলেও তা না হওয়ায় কষ্টে আছেন স্থানীয়রা। জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এ জনপদের মানুষকে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা জানা যায়, বারো মাসিয়া নদীটি বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী গোড়কমন্ডল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রায় ৩ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে ধরলায় মিশেছে। নদীটির কারণে পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তারা নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছেন বাঁশের সাঁকো। সেটিরও এখন নড়বড়ে অবস্থা। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, তারা যোগাযোগ সমস্যার কারণে পাচ্ছেন না ফসলের ন্যায্যমূল্য। সাঁকোটির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে পশ্চিম কান্তাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাউকুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গোড়কমন্ডল প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফয়জুল উলুম মাদরাসা ও গোড়কমন্ডল কমিউনিটি ক্লিনিক। পূর্বপাড়ে আছে পশ্চিম ফুলমতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে। নাওডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র নুর মোহাম্মদ জানায়, সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। একবার পা পিছলে পড়ে আহত হয়েছি। এখানে সেতু হলে ভালো হতো। পশ্চিম ফুলমতী গ্রামের বাসিন্দা মীর হোসেন বলেন, একটি সেতুর অভাবে ৪০ বছর ধরে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ফুলবাড়ী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মামুনুর রহমান বলেন, বারো মাসিয়া নদীর ওপর ৩০ মিটার সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর