মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে খুঁটি সরেনি দুই বছরেও

► ঘটছে দুর্ঘটনা ► লেগে থাকে যানজট ► দুর্ভোগ যানবাহন চালক ও পথচারীদের

সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা

সড়কে খুঁটি সরেনি দুই বছরেও

গাইবান্ধা জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়ক ডিবি রোড। সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। তবে ওই সড়ক থেকে বিদ্যুতের ২০টি খুঁটি এখনো সরানো হয়নি। এসব খুঁটির বেশ কয়েকটি রাস্তার ভিতরে। এতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগেই থাকে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহন চালক ও পথচারীদের।

গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শহরের পুবদিকের বড় মসজিদ এলাকা থেকে পশ্চিমে পুলিশ সুপার কার্যালয় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে বরাদ্দ ছিল ১১৭ কোটি টাকা। সড়ক নির্মাণে ৬ কোটি, জমি অধিগ্রহণে ১১১ কোটি টাকা। ঢাকার এমএম বিল্ডার্স কাজের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন। তবে নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিছু কাজ অসম্পন্ন রেখেই ২০২২ সালের প্রথম দিকে চার লেনের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। এদিকে সড়কটি প্রশস্ত হওয়ায় দুই পাশের বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর প্রয়োজন হয়। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে ৮৩ লাখ টাকাও পরিশোধ করেছে সওজ। এরপর দুই বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সড়ক থেকে এখনো ২০টি খুঁটি সরানো হয়নি। সরেজমিন দেখা যায়, জেলা শহরের রেলগেট থেকে পশ্চিম দিকে উত্তর পাশে এসব খুঁটি রয়ে গেছে। সড়কের দক্ষিণ পাশেও কিছু কিছু জায়গায় খুঁটি রয়েছে। আড়াই কিলোমিটার সড়কের সোয়া কিলোমিটার অংশে রয়েছে এসব খুঁটি। খুঁটিগুলো কোথাও রাস্তার ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষত হকার্স মার্কেট, ডাকবাংলোর মোড়, সাদুল্লাপুর সড়ক মোড়, ফকিরপাড়া, পলাশপাড়া, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সড়কে খুঁটি রয়েছে। সেখান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস-ট্রাক, কার-মাইক্রো, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন। বেড়েছে দুর্ঘটনাও। এলাকাবাসী জানায়, চার লেন সড়কের পশ্চিম অংশ সব সময় ব্যস্ত থাকে। খুঁটি সরাতে দেরি হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়কটিও সরু হয়ে গেছে। যানবহনসহ পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ওষুধ ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান বলেন, ‘এ এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকে। হেঁটে পথ চলতেও কষ্ট হয়। সময়ও লাগে বেশি।’ ওষুধ ব্যবসায়ী বিপ্লব মিয়া বলেন, ‘ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে।’ কোচচালক রাজু মিয়া বলেন, ‘ওইসব খুঁটির জায়গায় সড়কে তীব্র যানজট হয়। ভোগান্তিও বেশি হচ্ছে।’

গাইবান্ধা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’ গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২-এর (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিফ বলেন, ‘সড়কের উত্তর পাশে এখনো অনেক স্থাপনা রয়েছে। চার লেন সড়কের কাজ শেষ হলেও ওই এলাকার স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়নি। ওইসব স্থানের ফাঁকে ফাঁকে নতুন খুঁটি বসানো হয়েছে। সেগুলোয় বৈদ্যুতিক তার লাগানো যাচ্ছে না। স্থাপনা অপসারণ হলেই নতুন লাইন চালু করে পুরনো খুঁটি সরানো হবে।’

সর্বশেষ খবর