শিরোনাম
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাঁচ ফেরিঘাট বন্ধ

♦ দুর্ঘটনার শঙ্কা ♦ দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাস-ট্রাকের সারি

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

পাঁচ ফেরিঘাট বন্ধ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। পদ্মা সেতু চালুর পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিতে যানবাহন পারাপার কমে অর্ধেক নেমে এসেছে। তবে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭টি ফেরিঘাটের ৫টি বন্ধ থাকায় যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রিমালের কারণে পদ্মায় পানি বেড়েছে। এ কারণে গতকাল দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া প্রান্তের সবচেয়ে ব্যস্ততম ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে ছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার বন্ধ করে দেয় ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা পর শুধু ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার চালু করে। সরেজমিন গতকাল দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া প্রান্তের ১, ২, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ দেখা যায়। ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে ১১টি ফেরি লোড-আনলোড করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে যানজট। দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বাস ও ট্রাকের সারি তৈরি হয়। সেখানকার ব্যবসায়ী ও যানবাহন চালকরা জানান, দৌলতদিয়া প্রান্তে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ কয়েক বছর ধরে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালে দৌলতদিয়া প্রান্তে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট তৈরি করা হয়। তবে নির্মাণের পর ৬ মাস পর বন্ধ হয়ে যায় ঘাট দুটি। গত বছর ভাঙনে ৫ ও ৬ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যায়। আর ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বন্ধ হয়ে যায় দৌলতদিয়া প্রান্তের ৭ নম্বর ঘাট। সাতক্ষীরা থেকে আসা ট্রাকচালক মো. আল আমিন মিয়া বলেন, দীর্ঘ সময় ফেরিঘাটে অপেক্ষা করছি। এখন শুনি ঘাট সংকটে আস্তে আস্তে গাড়ি ছাড়ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, ঘাট নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। ৭টি ঘাটের মধ্যে ৫টি বন্ধ রয়েছে। তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন বলেন, দুটি ঘাট দিয়ে ফেরি লোড-আনলোড হচ্ছে। ৭ নম্বর ঘাট মেরামতে কাজ চলছে। সেটি চালু হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। দৌলতদিয়া প্রান্তের বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।  বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সরকারি নম্বরে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ২টি      ঘাট দিয়ে ১১টি ফেরি লোড-আনলোড          করলে দুর্ঘটনার শঙ্কা অবশ্যই থাকে। তা ঘটলে দায় বিআইডব্লিউটিএর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর