শিরোনাম
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়ক ও সেতু ভেঙে গাড়ি চলাচল বন্ধ

বান্দরবান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবান জেলা সদরের একটি বেইলি সেতু দেবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা সদরের ৪ মাইল পয়েন্টে গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে বান্দরবান থেকে রুমা এবং থানচি যাতায়াতের একমাত্র সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বান্দরবান-রুমা-থানচি-রোয়াংছড়ি বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম জানান, বেইলি সেতুটি অনেক পুরনো ছিল। ঝুঁকি নিয়ে বাস চলাচল করচ্ছিল। গতকাল হঠাৎ মাটি সরে সেতুটি প্রায় দেড় ফুট দেবে যায়। ফলে সাময়িকভাবে বান্দরবান-রুমা এবং বান্দরবান-থানচি রুটে বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। বান্দরবান সড়ক বিভাগ বলেছে, সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)-এর তত্ত্বাবধানে সড়কটির সংস্কার কাজ চলছে। বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নির্মাণাধীন সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার রাত ৩টার দিকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে ওই সড়ক ভেঙে যায়। এতে ধরখার-আখাউড়া-স্থলবন্দর সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কটি আখাউড়ার প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহার হয়। এ সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল না করতে পারায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল বিকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দেবগ্রামে বেইলি সেতুর বদলে রড-সিমেন্টের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশেই একটি মাটির বিকল্প সড়ক করা হয়। তবে তা ছিল খুবই দুর্বল। এরই মধ্যে ভারত থেকে আসা পানির তোড়ে সোমবার রাত ৩টার দিকে বিকল্প সড়কটি ভেঙে যায়। এ অবস্থায় নির্মাণাধীন সেতুর ওপর দিয়ে লোকজন পার হচ্ছে। তবে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মূলত পানি যাওয়ার জন্য মাত্র দুটি পাইপ দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বারবার বলা হচ্ছিল, অন্তত চারটি পাইপ দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে। তারা কথা না শোনায় এমনটা হয়েছে।

সেখানে দায়িত্বরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল এন্টারপ্রাইজের প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক জানান, তারা প্রয়োজন মতোই পাইপ দিয়েছিলেন। কিন্তু পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। দু-একদিনের মধ্যে ঢালাই কাজ শেষ হলে নতুন সেতু হালকা যানের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে আপাতত কোনো বিকল্প নেই।

 

সর্বশেষ খবর