বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলায় আমৃত্যু দণ্ড

রাঙামাটি ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন গতকাল দুপুরে রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসামির নাম মোজাম্মেল হক (৪০)। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারে ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ বছরের এক শিশু। আসামি মোজাম্মেল হক কৌশলে শিশুটিকে নিজের ঘরে ডেকে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় শিশুর মা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

এদিকে ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান গতকাল এ রায় দেন।

খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল চেয়ারম্যান ফরিদের নরহরিন্দ্র গ্রামের বাড়িতে একটি ঘটনার বিচার চাইতে যান এক নারী। তখন ফাঁকা বাড়িতে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল সদর থানায় মামলা হয়। আসামি করা হয় চেয়ারম্যান ও তার গাড়িচালককে। মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলেই তালাক দেন ফরিদ। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করতে থাকেন। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান। মামলা অধিকতর তদন্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয় ঢাকায়। ডিএনএ টেস্টে ফেঁসে যান ফরিদ। এরপর তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর