শিরোনাম
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে এবং হাসপাতালে রোগী-লাশ পরিবহন কাজে ব্যবহার করা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালক ও মালিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিবহন সেবা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বগুড়া জেলার বাইরের সব রোগীর স্বজনরা। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স মালিক মো. আরিফ ও তার গাড়িচালক মো. সুমনকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে গতকাল ধর্মঘট পালন করে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা। সংগঠনের নেতারা বলেন, অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও গাড়িচালককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরা এর একটি স্থায়ী সমাধান চাই।

 

 

শজিমেক থেকে নিয়মিত রোগী আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা আনিকা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মালিক মো. আরিফ ও তার গাড়িচালক মো. সুমন একটি রোগীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে যায়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর প্রতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ করে দেয় সংগঠনটি। গতকাল সকাল ৭টায় আরও দুই চালককে হেনস্তা করা হয়। এর আগেও একাধিক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধান চাই।

তারা আরও জানান, এ সরকার অ্যাম্বুলেন্সকে সেবা খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা এ সেবা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া জরুরি সেবা ৯৯৯ আমরা সেবা দিই। গরিব, অসহায়, প্রতিবন্ধীদের আমরা ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকি। বাংলাদেশের সব হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা আছে। এ হাসপাতালে পার্কিংয়ের সুবিধা থাকলেও আমাদের গাড়ি সেখানে রাখতে দেওয়া হয় না। অথচ সিএনজি ও থ্রি হুইলার পার্কিং থেকে নিয়মিত চলাচল করে। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকব। অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বগুড়া জেলার বাইরের সব রোগীর স্বজনরা। বাধ্য হয়ে তারা ভ্যান, সিএনজি এবং ট্রাকে করে লাশ ও রোগী নিয়ে যাচ্ছেন।

বগুড়া স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলাদুন্নবী জানান, আমরা কাউকে গ্রেফতার করিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের রাতেই ছেড়ে দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর