রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ের ঢালে থোকায় থোকায় লটকন

জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি

পাহাড়ের ঢালে থোকায় থোকায় লটকন

পাহাড়ে একসময় জংলি ফল নামে পরিচিত ছিল লটকন। পাহাড়ের ঢাল আর বন-জঙ্গলে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকত এ ফল। সময়ের ব্যবধানে পাহাড়ি জনপদে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে টক-মিষ্টি ফলটির। সময়ের সঙ্গে পাহাড় ছাড়িয়ে সমতলের বিভিন্ন জেলায় লটকনের চাহিদা তৈরি হয়েছে।

উচ্চ ফলনশীল এই ফল গাছের গোড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ডালে ধরে থোকায় থোকায়। পুষ্টিসমৃদ্ধ লটকন ছোট-বড় সবার কাছেই প্রিয়। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে স্বল্প পরিসরে ব্যক্তি উদ্যোগে লটকন চাষাবাদ হচ্ছে। বাড়ির আঙিনা আর পাহাড়ের ঢালে গাছে গাছে ঝুলছে লটকনের সবুজ ও সোনালি রঙের থোকা। উপজেলার রাঙ্গাপানি এলাকার মালিহা গার্ডেনে পাহাড়ের ঢালে লটকন চাষ করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা মাঈন উদ্দিন। তার মিশ্র ফলদ বাগানের চারপাশে ২০২০ সালে নরসিংদী থেকে ১৫০টি লটকন চারা এনে লাগিয়েছিলেন। যা থেকে দুই বছর ধরে ফল সংগ্রহ করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে ডালপালায় ঝুলে আছে অসংখ্য লটকন। গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ ফলন এসেছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বল্প পরিশ্রম আর কম পুঁজিতে বেশি লাভের আশায় লটকন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।

লটকন চাষি মাঈন উদ্দিন বলেন, স্বল্প পুঁজি ও কম পরিচর্যায় ভালো ফলন পাওয়া যায়। কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বেচাবিক্রি। একেকটি গাছের লটকন ৩-৪ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইউনুছ নূর জানান, পার্বত্য এলাকার মাটি লটকন চাষের বেশ উপযোগী। বাজারে এ ফলের চাহিদাও বেশি। এই ফল উৎপাদনে কৃষকদের আরও আগ্রহী করা প্রয়োজন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওংকার বিশ্বাস জানান, মানিকছড়িতে ৮ হেক্টর টিলা জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। পাহাড়ে লটকন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন অনেকেই।

 

সর্বশেষ খবর