রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা

♦ বর্ষার আগেই চলাচলের অনুপযোগী ♦ দুর্ভোগে মানুষ

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা

লালমনিরহাটে বেহাল রাস্তা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জেলার অন্তত ৪০০ গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশা। বর্ষার আগেই রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সূত্র জানায়, জেলায় ৪৫ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বসবাস করে। রাস্তার বেহাল দশায় এসব মানুষকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, চলবলা ইউনিয়নের পাঁচকন্যারথান হতে ইদ্রিস আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, নিথক মধ্যপাড়া হতে অতুল চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত, শিয়াল খোওয়া মন্দির থেকে ভাংগা মালদি পর্যন্ত রাস্তা ছাড়াও এই ইউনিয়নের আরও অন্তত ২০টি গ্রামীণ রাস্তার বেহাল অবস্থা। কমলাবাড়ী ইউনিয়নের উমানঠাকুরের বাড়ি থেকে চন্দনপাট বাজার পর্যন্ত, বুড়িরদিঘী হয়ে চণ্ডীবাড়ী বাজার পর্যন্ত, বিপরীত দিকে কুমড়িরহাট পর্যন্ত রাস্তা। আমেনা বাজার থেকে পাবনাপাড়া ও হরিবলেরথান রাস্তাসহ এ ইউনিয়নে অন্তত ৩০টি গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাট থেকে লতাবর পর্যন্ত, লতাবর হয়ে জাওরানিসহ এ ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের ১৫টির মতো গ্রামীণ সড়কের কোনো উন্নয়ন হয়নি দীর্ঘদিনেও, অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা হাসানুজ্জামান জুয়েল। গোড়ল ইউনিয়নের গোড়ল চৌপতি, বলাইরহাট, ঘোংগাগাছ, বেতবাড়ী, খাণ্ডেরচওড়া, লোহাকুচিসহ ৯ ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামের অন্তত ২০ গ্রামীণ সড়কের করুণ অবস্থা। এসব সড়কের ছবি ভিডিও পোস্ট করে সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলবলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোলায়মান গনি জানান, আমাদের ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫০টির অধিক গ্রামীণ সড়ক কাঁচা। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এবারের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। সামনে ঈদ উপলক্ষে শহরের মানুষ গ্রামে আসবে। এর মধ্যেই বর্ষাকাল শুরু হবে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদাপানি জমে বিভিন্ন গ্রামের সড়কগুলোর বাজে অবস্থা। হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের অন্তত ৩০ গ্রামীণ সড়ক কাঁচা। যা বর্ষা মৌসুম এলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কমলাবাড়ী ইউনিয়নের এক ব্যক্তি ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করে লিখেন, চাচি মারা গেছে বাড়িতে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে রাস্তার বেহাল অবস্থা। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি জানান, আমার ইউনিয়নের ছোট বড় অন্তত ৫০টি গ্রামীণ সড়কের ৭৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ৫ কিলোমিটার পাকা; বাকি সব রাস্তার বেহাল দশা। কারও কাছে মুখ খুলে এসব কথা বলতেও পারি না। জানি না এই দুর্ভোগ কবে শেষ হবে। এ ছাড়াও, পলাশী, ভোটমারী, সারপুকুর, মদাতি ইউনিয়নে অসংখ্য কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যেগুলো বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের মানুষ। আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক বলেন, আদিতমারীর গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক গ্রাম হবে শহর এই প্রক্রিয়া থেকে এ উপজেলা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর