মাদারীপুরের বাজৈরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে শংকরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম লাভলু। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাই বাবুল বয়াতি ও ছোট ভাই লাভলু বয়াতির মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে লাভলুকে চেপে ধরে বাবুল। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। লাভলুকে রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে বাবুল পলাতক। লাভলু দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামে এসে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। বাবুল ছাগল ব্যবসায়ী।
লাভলুর স্ত্রী বলেন, জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে শিবচরে এক নববধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবচর উপজেলার দক্ষিণ বহেরাতলার আলী হাসানের সঙ্গে সদর উপজেলার খালাসীকান্দির তাহমিনার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাহমিনাকে নির্যাতন করে আসছিলেন। গত শনিবারও তাকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে তাহমিনা মারা যান। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই গাঢাকা দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ জানায়, গতকাল তাহমিনার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।