শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাসপাতাল চত্বরে বর্জ্য আবর্জনা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

হাসপাতাল চত্বরে বর্জ্য আবর্জনা

নেত্রকোনায় হাসপাতাল চত্বরে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য-আবর্জনা। এতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকার অজুহাতে কর্মচারীরা হাসপাতাল চত্বরেই ফেলেন সব ধরনের বর্জ্য। হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের ফেলানো ময়লাও পড়ে থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। মর্গে যাওয়ার একমাত্র পথও এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৭ একর ১৩ শতাংশ জমির ওপর ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল। এ মর্গের পাশেই করা হয়েছিল একটি ডাস্টবিন। পরে সংস্কার না করায় সেখানে গাছপালা গজিয়ে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতাল করা হয় ২০১৮ সালে। এখন চলছে আড়াই শ শয্যার অবকাঠামো নির্মাণ। হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ে ২০১৮ সাল থেকে চলছে মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস। তবে হাসপাতালের বজ্য বা আবর্জনা ফেলার জন্য নেওয়া হয়নি আর কোনো উদ্যোগ। হাসপাতাল চত্বরেই খোলা স্থানে ফেলা বর্জ্য-আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে বাতাস। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। মর্গে যাওয়ার পথে ময়লা ফেলানো হয়। কলমাকান্দা থেকে লাশ নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালক মানিক মিয়া জানান, লাশ নিতে গিয়ে পায়ে বিদ্ধ হয় সুচ কাচিসহ ধারালো ধাতব। উৎকট গন্ধ ছড়ায়। নাক-মুখ বন্ধ করে এখানে পথ চলতে হয়। জেলা স্বাস্থ্য ফোরামের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, তারা এখানকার অপরিছন্ন পরিবেশসহ নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে পরিস্থিতির উন্নতি বা বদল দেখছেন না। প্রতিটি ছোট বড় প্রতিষ্ঠানেই ময়লা রাখার আলাদা ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ এ হাসপাতালের চিত্র ভিন্ন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল কবীর সরকার বলেন, বছরের পর বছর হাসপাতাল চত্বরে এমন অবস্থা। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বাতাস দূষিত হচ্ছে। এগুলো গাড়িতে সরিয়ে ফেলা বা পুড়িয়ে ফেলার কথা। তার কিছুই করা হচ্ছে না।

তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন আরএমওর সঙ্গে কথা বলতে। পরবর্তীতে তিনি বলেন, আলাদা কোনো জায়গা নেই। এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গত সপ্তাহে পৌরসভার ময়লার গাড়ি আসেনি তাই জমে গেছে।

সর্বশেষ খবর