শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে ধস, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

সড়কে ধস, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

লালমনিরহাটের কাকিনা বাজার-রংপুর সড়কের ১০ থেকে ১২ স্থানে বড় বড় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটির এ অবস্থা। ঝুঁকি নিয়ে চলছে মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহন। দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের।এলাকাবাসী জানায়, লালমনিরহাটসহ এ অঞ্চলে যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ লালমনিরহাট-রংপুর সড়ক; রংপুর-বুড়িরহাট-কাকিনা-পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা-তুষভান্ডার হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটি দিয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে রংপুর শহরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিন ছোটবড় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকিনা বাজার থেকে রংপুর নগরীর বুড়িহাট পর্যন্ত সড়কটিতে ১০-১২টি স্থানে বড় বড় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সিরাজুল মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আমজাদ ভাটিয়া বলেন, ‘দুই দিন থাকিয়া বৃষ্টি হবার কারণেই সড়ক অনেক জায়গায় ভ্যালসি (ধসে) গেইছে। দিনরাত এই সড়ক দিয়ে যেভাবে পাথরভর্তি ড্রামগাড়ি (ডাম্প ট্রাক) চলাচল করে, তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভ্যালসি যাওয়া জায়গা যদি             এখনই ঠিক না করে তাইলে আবার বৃষ্টি হইলে কিন্তু সড়কের বাকি জায়গাগুলাও ভ্যালসি যাইবে।’

ঢাকার মুন্সীগঞ্জ থেকে ড্রাম্প ট্রাক নিয়ে পাটগ্রামে পাথর নিতে আসা চালক মুন্না মিয়া বলেন, ‘রাতে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কটি ভালো ছিল। এখন আসার পথে দেখতেছি সড়কের অনেক জায়গা ধসে গেছে। এ সড়কে যেভাবে গাড়ি চলে, দ্রুত ঠিক না করলে সড়কটিতে বিপদ ঘটতে পারে।’ রংপুর নগরীর বুড়িরহাট বাজার থেকে কাকিনা বাজারে সুপারি কিনতে আসা ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘বুড়িরহাট থেকে কাকিনা পর্যন্ত যতগুলা জায়গায় ভাঙছে, দ্রুত ঠিক না করলে কিন্তু রাস্তার অবস্থা খারাপ হবে।’

কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহির তাহু বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ধসের সৃষ্টি হয়েছে।’ কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সানজিদ রানা বলেন, ‘ধসে যাওয়া স্থানগুলো সংস্কারে লালমনিরহাট এক্স-এন অফিস থেকে লোকজন ঠিক করা হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে।’

সর্বশেষ খবর