মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্থবির কুমার নদ

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

স্থবির কুমার নদ

কুমার নদ ভাঙ্গা উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত। ভাঙ্গার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে আছে কুমার নদের নাম। একসময়ের স্রোতস্বিনী কুমার এখন কচুরিপানা বোঝাই। কচুরিপানায় স্থবির এখন কুমার নদ। ফরিদপুর জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের মদনখালী এলাকা থেকে পদ্মা নদী থেকে কুমার নদের জন্ম। এরপর ফরিদপুর সদর, সালথা, নগরকান্দা উপজেলার ভিতর দিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের সিন্দিয়াঘাট এলাকায় মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ ও গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর সংযোগ খাল বিলরুট ক্যানেলে গিয়ে মিশেছে। কুমার নদ ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ এলাকা হয়ে ভাঙ্গা পৌর শহরে এসে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একভাগ ভাঙ্গা পৌরসভা থেকে ঘারুয়া ইউনিয়ন হয়ে যায়। অপর ভাগ ভাঙ্গা পৌরসভা হয়ে ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে মধুমতী নদীতে মিশেছে। কুমারের দৈর্ঘ্য ১৯৪ কিলোমিটার। এ নদের গড় প্রস্থ ৪৪ মিটার।

সম্প্রতি ভাঙ্গা এলাকায় কুমার নদ ঘুরে দেখা যায়, পুরো নদ কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে। এতে এ এলাকার মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক  কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নদের পাড়ের বাসিন্দা ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার নুরুল হক (৪৪) বলেন, আমরা গোসল থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক কাজকর্ম কুমার নদের পানি দিয়েই করে থাকি। এবার কচুরিপানায় নদ ছেয়ে গেছে। আমাদের গোসল থেকে সব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম (৪৫) বলেন, আমাদের যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুই একসময় কুমার নদ নির্ভর ছিল। এমনকি নদের পাড়ের লোকজনের গোসল এ নদেই করে থাকত। মানুষের রান্নার পানিও এ নদ থেকে সংগ্রহ করত। কিন্তু কচুরিপানায় নদ পুরো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নদের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর