শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

দম ফেলার সময় নেই কর্মকারদের

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

দম ফেলার সময় নেই কর্মকারদের

ঈদুল আজহা সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ছুরি, দা, বঁটি, চাপাতিসহ লোহার নানা জিনিসপত্র তৈরিতে কর্মকাররা পার করছেন ব্যস্ত সময়। কাজের চাপে যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। ক্রেতার চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করেও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। ছুরি, দা ও বঁটি শান দিতে আসা গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার আবদুল জব্বার, পাকুন্দিয়ার আবদুল মতিন ও সদর উপজেলার গড়বিশুদিয়া গ্রামের সামছুল জানান, সারা বছর এগুলো ব্যবহার হয় না। ফলে মরিচা ধরেছে। শান দিয়ে পুরনোগুলো দিয়েই পশু কোরবানির কাজ চালিয়ে নেব। অনেকে আবার নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন এসব সরঞ্জাম। কর্মকার আশরাফ মিয়া, জিল্লুর রহমান, রফিকুল ইসলাম জানান, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানি ঈদে তাদের আয়-রোজগার ভালো হয়। এ বছর প্রকারভেদে প্রতিটি দা ৩৫০-৮০০, ছুরি ৫০০-৯০০, চাপাতি ৭০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

হোসেনপুর উপজেলার কামার শিল্প অনেক পুরনো। সারা বছরই কৃষি সংশ্লিষ্ট নানা উপকরণ এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। হোসেনপুর পৌর সদরসহ পুরো উপজেলায় দুই শতাধিক মানুষ এ পেশায় নিয়োজিত। পৌর সদরের কর্মকাররা জানান, এমনিতে সারা বছর কম-বেশি কাজ থাকে। লোহার দাম ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা খুব একটা ভালো নেই। কোরবানির ঈদের আগে পশু জবাই কাজের হাতিয়ার সংগ্রহের জন্য মানুষ তাদের কাছে ভিড় করেন। এ সময় ব্যস্ততার শেষ নেই। তারা বলেন, এটি অনেক কষ্টের পেশা। শক্তি ও কৌশলের মিশেলে কাজ করতে হয়। পরিশ্রম অনুযায়ী মুনাফা অনেক কম। পূর্বপুরুষদের এই পেশা ধরে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর