বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বর্জ্য শোধনাগার কাজে আসছে না

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বর্জ্য শোধনাগার কাজে আসছে না

দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণের তিন বছর পরও কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এ কারণে এটি কোনো কাজেও আসছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিনিকলে উৎপাদন। এ কারণে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।  সূত্র জানায়, সেতাবগঞ্জ চিনিকলসহ দেশের ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের উদ্যোগ নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন এবং সরকারের (জিওবি) অর্থায়নে বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ জুলাই। শোধনাগার প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় প্রতিটি ৮ কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ছয়টি চিনিকলের বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণে গড় হিসাব মতে মোট ব্যয় ৪৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এ কাজ শেষ হওয়ার সময় ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বি এম ওয়াটার কোম্পানি বেঁধে দেওয়া সময়ের পর তিন বছর পার হলেও সেতাবগঞ্জ চিনিকলের শোধনাগার এখনো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। এ কারণে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) এখন চিনিকলের সৌন্দর্যবর্ধক স্থাপনা মাত্র। স্থানীয়রা বলছেন, সেতাবগঞ্জ চিনিকল একসময় কর্মচঞ্চল থাকত। কিন্তু সরকারি এক আদেশে বন্ধ হয়ে যায় এ চিনিকলে আখ মাড়াই। শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশের ছয়টি চিনিকলের সঙ্গে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের আখ মাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারীরা তাদের কর্মজীবনের শেষ সম্বল গ্র্যাচুইটির টাকা ২০১৬ সাল থেকে পাচ্ছেন না। এ চিনিকলের ২১৬ শ্রমিক কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বাবদ পাওনা প্রায় ১২ কোটি টাকা। সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ন কবীর সাংবাদিকদের জানান, এ চিনিকলের বর্জ্য শোধনাগারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বি এম ওয়াটার কোম্পানি লি. ঢাকা আমাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করে নেই। তবে চিনিকলের উৎপাদন চালু থাকলে স্থাপিত শোধনাগারটির ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যেত। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অবশ্যই সেতাবগঞ্জ চিনিকল উৎপাদনে ফিরে আসবে এবং বর্জ্য শোধনাগারটি চালু হবে। এখানে বন্ধ ছয়টি চিনিকল চালু হলে গড় হিসাবে প্রায় ২৫ হাজার টন চিনি প্রতি বছর উৎপাদন করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর