বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফাইলেরিয়া হাসপাতাল চলছিল অনুমোদন ছাড়াই

সিলগালা করলেন সিভিল সার্জন

নীলফামারী ও সৈয়দপুর প্রতিনিধি

স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন না থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ল্যাব সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন রোগীকে সদর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকায় এ অভিযান চালান নীলফামারীর সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলাসহ ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় ফাইলেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি। এ রোগের চিকিৎসার জন্য ২০০২ সালে জাপান সরকারের অর্থায়নে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি। ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, এ হাসপাতালের অনুমোদন নেই। এ ছাড়া এখানে নিয়মিত কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকিনেশিয়ান নেই।

 

 কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীসহ যেসব সুবিধা থাকা দরকার সেগুলোর কিছুই নেই। তাই হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইম্যুনোলজি (আইএসিআইবি) হাসপাতালটি পরিচালনায় দায়িত্বে ছিল। তবে ২০১২ সালে হাসপাতালটির পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বে ভেঙে পড়ে সেবা কার্যক্রম। অর্থায়ন বন্ধ করে দাতা সংস্থাগুলো। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা লেপরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সব ধরনের সহযোগিতা করবে লেপরা বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রাকিবুল ইসলাম তুহিন পরিচালকের দায়িত্ব নেন। এরপর নতুন করে প্রায় ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রত্যেকের কাছে ফেরতযোগ্য জামানতের কথা বলে নেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। এভাবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দেন পরিচালক। এরপর থেকে বেতন-ভাতা না পেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরুপায় হয়ে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু সম্প্রতি তারা পত্রিকায় আবারও ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন। 

ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমরা ফাইলেরিয়া হাসপাতালের  বিষয়টি জানতে পারি। এ হাসপাতালের অনুমোদন নেই। এ ছাড়া এখানে নিয়মিত কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকিনেশিয়ান কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীসহ যেসব সুবিধা থাকা দরকার সেগুলোর কিছুই নেই। তাই হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর