শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্কুলের ছাদে দৃষ্টিনন্দন বাগান

নীলফামারী প্রতিনিধি

স্কুলের ছাদে দৃষ্টিনন্দন বাগান

বিদ্যালয়ের ছাদে শখের বশে বাগান করেছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গাঁ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) সুকুমার রায়। সে বাগানেই শিক্ষক সুকুমার রায় শিক্ষার্থীদের কৃষি বিষয়ে জ্ঞান দান করেন। বাগানে সারিসারি টব বসানো। টবে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জাতের ফলদ, ফুল ও শাকসবজির গাছ। বেড়ে ওঠা ফুলের গাছে ফুটছে ফুল। প্রজাপতিরা ফুলে ফুলে বসছে, উড়ছে। ফলদ গাছে ধরেছে ফল। ফলের ম-ম গন্ধে ভরে উঠেছে বাগানটি। টবে লাগানো হয়েছে পুঁই, কলমিসহ নানা জাতের শাক। পাশেই বিভিন্ন রকমের পাতাবাহার গাছ। পুরো ছাদটিই ফুল, ফল ও সবজি গাছে দৃষ্টিনন্দিত হয়েছে। ফুলের গাছে ফুল ফুটে বাগানের সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত করে তুলেছে। বাগানের সে অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন শিক্ষার্থী ছাড়াও ভিড় করছে উৎসাহী মানুষ। ইচ্ছা থাকলে বিদ্যালয়ের ছাদে যে বাগান করা সম্ভব, তা প্রমাণ করেছেন সুকুমার রায়। বর্তমানে বাগানে কাঠগোলাপ, গোলাপ, জবা, কৃষ্ণচূড়াসহ নানা প্রজাতির ফুল ফুটেছে।
 তেমনই নানা জাতের আম, মাল্টা, লেবু, কমলাসহ ফলদ গাছে ফল ধরেছে। এ ছাড়া রয়েছে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, বেল, আঙুর, জাম্বুরা। ঔষধি গাছের মধ্য রয়েছে ঘৃতকুমারী, তুলসী, পুদিনাপাতা, পাথরকুচি, আকন্দ ও থানকুচি। ছাদের আরেক প্রান্তে রয়েছে লাউ, স্কোয়াস, পেঁপে, বেগুন, মরিচ, ওলকপি, ধনেপাতা, পালং, পুঁই আর টম্যাটো।
শিক্ষক সুকুমার রায় বলেন, ‘২০১৭ সালে নিজ উদ্যোগে শখের বশে বিদ্যালয়ের ছাদে বাগান করা শুরু করি। শুরুতে অল্প কিছু গাছ থাকলেও বর্তমানে পুরো ছাদ ভর্তি হয়েছে ফুল, ফল ও সবজি গাছে। শৈশব থেকেই বাগান করার শখ ছিল আমার। বিদ্যালয়ের ছাদে সেই কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অনেক জায়গা থেকে ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের চারা সংগ্রহ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ছাদে বাগান করা শুরু করি। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে ছাদকে যে ব্যবহার করা যায় সে ইচ্ছা থেকেই ছাদে ফুলবাগানের পাশাপাশি ফল আর সবজি চাষ করছি।’ শুধু স্কুল নয়, বাড়ির ছাদ ফেলে না রেখে সেখানে সবজি চাষ করে উপার্জন করাও সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক তরণীকান্ত রায় বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে সাড়ে তিন শ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। কৃষি শিক্ষক সুকুমার রায় স্কুলের ছাদ ফেলে না রেখে বাগান হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে যেমন শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে, তেমন শিক্ষকের পরিকল্পনা আজ উদাহরণ হিসেবে থাকছে অনেকের কাছে।’

সর্বশেষ খবর